রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পাট ও পাটজাত পণ্য দেশে যেমন গুরুত্ব, তেমনি বিশ্ব বাজারেও সমাদৃত । পাট শিল্পের সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি জড়িত।
রাষ্ট্রপতি জাতীয় পাট দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আজ রোববার এক বাণীতে এ কথা বলেন।‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামীকাল সোমবার (৬ মার্চ) দেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় পাট দিবস-২০১৭’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, বাংলার পাটখাতের সমৃদ্ধি আরো ত্বরান্বিত করতে এ উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। সে লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্যস্বাধীন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) রাষ্ট্রের উৎপাদন যন্ত্রের ওপর জনগণের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে পাট ও বস্ত্রকলসমূহ জাতীয়করণ করেন। পাটের গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।’
আবদুল হামিদ বলেন, রাষ্ট্রীয় পাটকলসমূহ আধুনিকায়নের ফলে পাটখাত পুনরায় অর্থনীতিতে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখছে। দেশের অর্থনীতি ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাটশিল্প উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য নির্মূলসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও বাংলাদেশ সফল হবে বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস। এ ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব পাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। সরকার গৃহীত রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প- ২০৪১’র আলোকে বাংলাদশ ২০৪১ সালের আগেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে তিনি নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।রাষ্ট্রপতি জাতীয় পাট দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।