মধ্যপ্রাচ্যে নৌবাহিনীর একটি স্ট্রাইক গ্রুপ মোতায়েনের মার্কিন সিদ্ধান্তকে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে আখ্যায়িত করেছে ইরান। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন বলেন, ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ ও একটি বোম্বার টাস্কফোর্সকে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। এর মধ্য দিয়ে ইরানকে একটি স্পষ্ট ও অপরিহার্য বার্তা দেয়া হয়েছে। তা হলো, যদি যুক্তরাষ্ট্রের অথবা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে কোনোও হামলা করে ইরান তাহলে প্রতিশোধ নেবে তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এমন ঘোষণাকে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র কিভান খোসরাভি। তিনি বলেছেন, বল্টনের ওই বিবৃতি ধোয়াসাচ্ছন্ন সময় অতিক্রান্ত এক মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। খোসরাভিকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা তাসনিম বলেছে, ২১ দিন আগে ভূমধ্যসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ দেখতে পেয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী। খোসরাভি বলেন, সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে জানায় ঘাটতি আছে বল্টনের।
তার কথার অর্থ হলো নিজের প্রতি বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করা। কি কারণে যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা অস্পষ্ট। তবে এমন সিদ্ধান্তে ট্রাম্প প্রশাসন ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা আরো একধাপ বৃদ্ধি পাবে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান বলেছেন, ইরানের শাসকগোষ্ঠীর তরফ থেকে বিশ্বাসযোগ্য হুমকির ইঙ্গিত পাওয়ার কারণে ওই স্ট্রাইক গ্রুপ মোতায়েনকে অনুমোদন দিয়েছেন তিনি। তবে কি হুমকি রয়েছে ইরানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি টুইটারে বলেছেন, আমরা ইরানকে সব রকম প্ররোচণা বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বা তাদের কোনো স্বার্থের ওপর যেকোনো হামলা হলে তার জন্য ইরানের শাসকগোষ্ঠীকে জবাবদিহিতা করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে আগ্রাসন চালানো হয়। ওই যুদ্ধে পারস্য উপসাগরে মোতায়েন করা হয়েছিল ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন।