পার্বত্য এলাকার শান্তি সংরক্ষণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের যেকোনো মূল্যে নির্মূল করা হবে। এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে এবং এ অঞ্চল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিশ্বের এক অনন্য স্থান। এ অঞ্চল অস্থিতিশীল থাকবে এটা মেনে নেয়া যায় না। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের কারণে অশান্তির সৃষ্টি হবে এটা কাম্য নয়। তিন পার্বত্য জেলার জনগণের সহযোগিতায় এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
আজ রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত তিন পার্বত্য জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ এলাকার মানুষ শান্তি চায়। আজকের সভায় আমরা তিন জেলার মানুষের হৃদয়ের কথা জেনে গেলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে শান্তি সংরক্ষণে যা যা করা দরকার উনি তা করবেন।
মাননীয় মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এখন অনেক দক্ষ, অত্যন্ত শক্তিশালী, যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম। এখানে কাউকে চাঁদাবাজি করে, অস্ত্রের মহড়া দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে দেয়া হবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সরকার এ লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন। দেশের জনগণের সহযোগিতায় বর্তমানে দেশ জঙ্গীবাদ মুক্ত। চরমপন্থিরা আত্মসমর্পণ করেছে; তারা এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পাহাড়ে শান্তি বজায় থাকবে এবং অপার সৌন্দর্যময় এ এলাকা বিশ্ব পর্যটকদের এক আকর্ষণীয় স্থান হবে। এ এলাকার উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে পারবে না। বাংলাদেশের সঙ্গে সমানতালে পার্বত্য চট্রগ্রামও এগিয়ে যাবে।
পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি বলেন, আমাদের মূল কথা হলো আমরা শান্তি চাই। জনগণের জান মাল রক্ষা করার জন্য, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার যে পদক্ষেপ নিবেন আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব।
পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি’র সভাপতিত্বে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি; দিপংকর তালুকদার এমপি, রাঙ্গামাটি; বাসন্তী চাকমা এমপি; সিনিয়র সচিব জননিরাপত্তা বিভাগ; আইজিপি; সচিব, পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; মহাপরিচালক বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব; ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি; তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ; ডিআইজি চট্রগ্রাম রেঞ্জ; তিন জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ; পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলের রাজা, হেডম্যান, কারবারিসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।