দেশের সকল মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পায়রা সমুদ্র বন্দরে বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিশিষ্ট কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
আজ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাসসকে বলেন, ‘সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশকে বিদ্যুতের আওতায় আনার জন্য খুবই আশাবাদী এবং আমরা দেশে বিদ্যুৎ-নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছি।’
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) ও চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানি নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড পায়রা সমুদ্র বন্দরের কাছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।
প্রকল্প সূত্র অনুযায়ী, এটি ৫০:৫০ সমান শেয়ারের ভিত্তিতে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে দুই ইউনিট বিশিষ্ট অতি আধুনিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৩ সালে উৎপাদনে যাবে।
আরপিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুস সবুর বলছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে যৌথ কোম্পানিকে কাজ প্রদানের ব্যাপারে চূড়ান্ত করার বিষয়টি অবহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনের পর এ বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে যৌথ উদ্যোগের কোম্পানি রেজিস্ট্রার্ড হবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, দরিদ্র জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।