নারায়ণগঞ্জের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ১২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।
শুক্রবার হেডকোয়ার্টার্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা তদন্তে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটি অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত ডিআইজি (এসবি) মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী, পুলিশ সুপার (পিবিআই-ঢাকা মেট্রো) মো. আবুল কালাম আজাদ, সিআইডির পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তির তথ্য অনুযায়ী নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ রূপগঞ্জ থানাধীন পূর্বাচল আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর সেক্টরের একটি জলাধারে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগ ভর্তি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
এ পর্যন্ত উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৬১টি চায়নিজ এসএমজি, ২টি রকেট লাঞ্চার, ২টি ওয়াকিটকি, ৭.৬২ বোরের ৫টি ও পিস্তলের ম্যাগজিন ৫টি, রকেট লাঞ্চার প্রজেক্টর ৪৯টি, হ্যান্ড গ্রেনেড ৪২টি, এসএমজির ম্যাগজিন ৪৪টি, বিপুল পরিমাণ টাইমফিউজ, ইগনাইটার ও গুলি।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক সকাল সাড়ে এগারটায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোঃ মোখলেসুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, এআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মোঃ মনিরুজ্জামান, নারায়নগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হকসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশের সাথে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডবুরীরা অভিযানে সহায়তা করছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।