ঢাকা থেকে ‘করোনাভাইরাসের উপসর্গ’ নিয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ গ্রামে গিয়েছিলেন পঞ্চাশ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ী। শনিবার তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর ওই বাড়িটিসহ ১০টি বাড়ি লক-ডাউন করেও দেয় প্রশাসন।
ঝামেলা বাধে লাশটি কবরস্থ করা নিয়ে। এলাকাবাসী লাশের কবর দিতে বাধা দেয়। তবে পুলিশের চেষ্টায় শেষমেশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
লাশটির কবরস্থ করা নিয়ে বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার কুদরত এ খুদা তার এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “একটি লাশ দাফন করে এভাবে স্ট্যাটাস দিয়ে জানাতে হবে তা কখনো ভাবি নি!!!
“মানুষের মাঝে মানবিকতা জাগাতে এতটা গলদঘর্ম হতে হবে, তা কখনো জানা ছিল না।
“সকাল থেকেই নানা বাধা-বিপত্তি আর নানা নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে আজ রাত পৌনে ৮টার সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে পুলিশের উদ্যোগেই লাশের দাফন সম্পন্ন করা হলো!!”
তিনি আরো লেখেন, “দাফন কাজে বাধা দেওয়ার খবর শোনা মাত্রই এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত দুই প্লাটুন স্পেশাল আর্মড ফোর্স প্রেরণ করা হয়।
“কয়েকজন দুষ্ট লোক এলাকায় ভুল বুঝিয়ে কয়েক হাজার লোক জড়ো করেন!! শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান মানুষকে বুঝিয়ে ঘরে ফেরান।”
“কিন্তু কবর খোড়ার লোক কোথায়??? শিবগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোস্তাফিজ আর এসআই আহসান আরো দুইজনকে সাথে নিয়ে শুরু করেন কবর খুড়তে!! অবশেষে লাশ দাফন হলো!!
“একজন ব্যক্তি পেল তার মৃতদেহের সঠিক মর্যাদা। আমরা দূর থেকে দাঁড়িয়ে দোয়া পড়লাম।”
দাফনের পর নিহতের ব্যক্তির স্ত্রী সাজেদা বেগম বলেন, জানাজার সময় আমাদের কাউকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি।”