রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, উৎপাদন ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারকারী পর্যায়ে হস্তান্তর, বিপণন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, উৎপাদক ও ভোক্তার মধ্যবর্তী মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম হ্রাস, পুষ্টিমানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য উৎপাদন, মানসম্মত প্রক্রিয়াকরণ ও ভোক্তা সচেতনতা বৃদ্ধি খুবই জরুরি। তিনি বলেন, এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ সংরক্ষণেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে বাণীতে এ কথা বলেন।
মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, সুস্থ ও দক্ষ জাতি গঠনে প্রাণিজ আমিষের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিরন্তর সহায়তায় এই অত্যাবশ্যক খাদ্য উপাদানের ক্রমবর্ধমান জাতীয় চাহিদা পূরণে পশু-পাখি পালনকারী কৃষক সম্প্রদায় প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে দেশীয় উৎস থেকেই তরল দুধ, মাংস ও ডিমের বাজার চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে বিশ্বব্যাপী মানুষ ও পণ্য পরিবহণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং অত্যধিক বাণিজ্যিক উৎপাদন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে বিস্তৃতি ঘটছে রোগ ব্যাধির, যা নিয়ন্ত্রণে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক হয়ে পড়ছে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রাণিজ সম্পদের উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াকরণসহ জনগণকে সার্বিক বিষয়টি অবহিতকরণের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৭’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রথমবারের মতো প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৭ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।