কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না ছুটে আসা গ্রহাণুকে। এমনটাই জানাল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’। রীতিমত সতর্কবার্তা দিয়ে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে ‘এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং-এর সমান একটা গ্রহাণু। যার এনার্জি ১২০০ মেগাটন আর যেটি হিরোশিমা বম্বের তুলনায় ৮০,০০০ গুন বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম।
২১৩৫ সালে সেই গ্রহাণু আছড়ে পড়বে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই গ্রহাণুকে পরমাণু বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে নাসা। আর সেইজন্য ‘হ্যামার’ নামে স্পেসক্রাফট তৈরি করছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
পৃথিবীর দিকে কোনও গ্রহাণু ছুটে এলে যাতে তাকে ঠেকানো যায়, তার জন্য স্পেসক্রাফট তৈরি করছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এটি গ্রহাণুর অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
তবে যদি সময় পার হয়ে যায় তাহলে বিস্ফোরণ ঘটানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। পরমাণু বিস্ফোরণেই থামিয়ে দেওয়া হবে গ্রহাণুকে। এই বিশেষ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছ, HAMMER বা ‘হাইপার ভেলোসিটি অ্যাস্টারয়েড মিটিগেশন মিশন ফর এমার্জেন্সি রেসপন্স’।
৮.৮ টনের এই ‘হ্যামার’ এয়ারক্রাফট সরাসরি ওই গ্রহাণুতে ধাক্কা মেরে উড়িয়ে দেবে পরমাণু বিস্ফোরণে। ১৬০০ ফুটের একটি গ্রহাণু ‘বেনু’কে নিয়ে এই গবেষণা পরীক্ষার কথা ভাবা হচ্ছে।
যদিও এখনই পৃথিবীকে ‘বেনু’র ধাক্কা মারার কোনও সম্ভাবনা ঘটেনি। তবে, ২৭০০ ভাগের এক ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে আগামী এক শতকে। তাই তৈরি থাকতে পিছপা হচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।