যানজট পৃথিবীর কর্মঠ মানুষের প্রধান শত্রু। যানজটের কারণে অপচয় হচ্ছে মূল্যবান কর্মঘন্টা ও প্রাকৃতিক সম্পদ। ব্যহত হচ্ছে সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা। বিশ্বের ট্রাফিক ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করাই ইন্ট্রিক্সের কাজ৷ এবার সে কাজ করতে গিয়ে তারা পৃথিবীর ভয়াবহ যানজটের শহর তুলে ধরেছে। আসুন জেনে নেয়া যাক যানজটের শহর কোনগুলো।
ঢাকার যানজট নিয়ে বিরক্ত নয় এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। অনেকেই ইতোমধ্যে শহরটিকে বসবাসের অযোগ্য বানাতেও ছাড়েনি। তবে গবেষণা বলছে, এটি সারা পৃথিবীরই সমস্যা। ২০০৮ সালের পর সারাবিশ্বের যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ শতাংশ। শত শত কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে যানজটের কারণে। হিসেব মতে শুধু ম্যাক্সিকো সিটিতে সকাল ও সন্ধ্যার অফিস যাওয়া ও আসার সময়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি সময় লাগছে। এতে বছরে একজন মানুষের নষ্ট হচ্ছে ২১৯ কর্মঘন্টা। শুধু অফিস সময় ছাড়াও শহরটিতে সারাদিনেই যানজট লেগেই থাকে, ম্যাক্সিকো সিটিতে সারাদিন গড়ে ৫৯% সময় অপচয় হচ্ছে যানজটের কারণে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোন শহরে স্বাভাবিকের চেয়ে কতটুকু বেশি সময় লাগছে।
ম্যাক্সিকো সিটি: ম্যাক্সিকোর রাজধানী, এখানে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৯ শতাংশ সময় বেশি লাগছে। (অফিস সময়ে- সকাল: ৯৭%, সন্ধ্যা: ৯৪%)
ব্যাংকক: থাইল্যান্ডের রাজধানী, স্বাভাবিকের চেয়ে সময় লাগছে ৫৭ শতাংশ (অফিস সময়ে- সকাল: ৮৫% সন্ধ্যা: ১১৪% )
ইস্তাম্বুল: তুরষ্কের ঐতিহাসিক শহর। যানজট কেড়ে নিচ্ছে ৫০% বেশি সময় (অফিস সময়ে- সকাল: ৬২% সন্ধ্যা: ৯৪%)
রিও ডি জেনেরিও: ব্রাজিলের রাজধানী, এখানে ৪৭% বেশি সময় লাগছে। (অফিস সময়ে- সকাল: ৬৬% সন্ধ্যা: ৮৯%)
মস্কো: রাশিয়ার রাজধানী। ৪৪% বেশি সময় লাগছে। (অফিস সময়ে- সকাল: ৭১% সন্ধ্যা: ৯১%)
বুকারেস্ট: রোমানিয়ার রাজধানী। ৪৩% বেশি সময় লাগছে। (অফিস সময়ে- সকাল: ৮৩% সন্ধ্যা: ৮৭%)
সালভাদর: মধ্য আমেরিকার ঘনবসতির ক্ষুদ্র একটি দেশ। অতিরিক্ত সময় লাগছে ৪৩%। (অফিস সময়ে- সকাল: ৬৭% সন্ধ্যা: ৭৪%)
রিকিফে: ব্রাজিলের পারনাম্বুকো প্রদেশের রাজধানী। অতিরিক্ত সময় লাগছে ৪৩%। (অফিস সময়ে- সকাল: ৭২% সন্ধ্যা: ৭৫%)
চাংডু: দক্ষিণ পশ্চিম চীনের সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী। অতিরিক্ত সময় লাগছে ৪১%। (অফিস সময়ে- ৭৩% সকাল: সন্ধ্যা: ৮১%)
লস অ্যাঞ্জেলস: যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার শহর। অতিরিক্ত সময় লাগছে ৪১%। (অফিস সময়ে- সকাল: ৬০% সন্ধ্যা: ৮১%)