ছোটবেলায় আমাদের প্রায় সকলকেই একটা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় যে, বড় হয়ে কি হতে চাও? তেমন ভাবেই স্কুলের প্রবন্ধ রচনায় বার বার ফিরে আসে একটি বিষয়, তোমার জীবনে লক্ষ্য কি। তখন থেকেই আমরা ভাবতে শুরু করি আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে। হয়তো আমাদের ভাবানো হয়। একটু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেছে দেওয়া হয় কোন পেশা আপনাকে সবচেয়ে বেশি উপার্জনের সুযোগ দেবে। তবে একটা সময়ের পর আমাদের জীবনের অনেকটা সময় অতিবাহিত হয় আমাদের কর্মস্থলে বা অফিসে। কখনও ভেবে দেখেছেন, কোনও ভাবে কি আপনার পেশাগত জীবন আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করছে? দেখে নিন কী ভাবে পেশাগত জীবনের সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করবেন-
⇒ যে কাজ আপনি ভালবেসে করেন সেটা কি আদৌ আপনার চাকরি: চাকরি কথাটির মধ্যে রয়েছে অনেক দায়িত্ব, কর্তব্য কিন্তু যদি সেটা হয় আপনার ভালবাসার কাজ তাহলে যেমন কমবে আপনার কাজের চাপ তেমন কমবে আপনার মনের চাপও।
⇒ আপনি কি খুশি আপনার উপার্জনে: অনেকেই হয়তো বলে থাকেন পেশাগত তৃপ্তির চেয়ে টাকা কখনই বড় নয়। কিন্তু মাসের প্রথমে যখন মাইনেটা হাতে পান তখন কি মুখে হাসি ফোঁটে না? তাহলে আগে দেখে নিন আপনার কাজের জন্য আপনি উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন তো? তা না হলেই কিন্তু অসন্তোষ তৈরি হবে।
⇒ চাকরির সঙ্গে সঙ্গে কি কি বিষয় আপনাকে ভাল রাখবে তা আগে বুঝুন: শুধু চাকরি করে প্রচুর টাকা উপার্জন করলেই কি আপনি খুশি থাকতে পারবেন? এই বিষয়টা আগে বুঝুন আর তার সঙ্গে সঙ্গে আপনার উপার্জন আর চাহিদার সঠিক সমতা বজায় রেখে চলুন।
⇒ ক্ষমতার আশা: অনেকেই আছেন যাঁদের কাছে ক্ষমতা খুব গুরুত্বপূর্ণ আর টাকা যে ক্ষমতা নিয়ে আসে, এ কথা কে অস্বীকার করতে পারে! বাড়ি কিংবা বন্ধু মহলে টাকা যে কদর কিছুটা হলেও বাড়ায়, তা কে না জানে! ক্ষমতা উপভোগ করুন, দেখবেন মনও অনেকটা হালকা হবে।
তাছাড়া অফিসে ঢুকে ‘সুইচ অন্’ আর অফিস থেকে বেড়িয়েই ‘সুইচ অফ্ মোড’ আপনার সমস্যা সমাধানে খুবই কাজে দেবে। উল্লেখিত বিষয়গুলি নিজের জীবনে পরখ করে দেখুন, উপকার পাবেন।