পোল্যান্ডে বিচারক নিয়োগের ক্ষমতা গেল পার্লামেন্টের হাতে।
শনিবার এ-সংক্রান্ত বিল পাশ হয়েছে। তবে বিলটি আইনে পরিণত হতে অবশ্যই প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর লাগবে।
বিবিসি অনলাইন সূত্রে জানা যায়এই বিলে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগের সঙ্গে আলোচনা না করেই দেশটির সংসদ সদস্যরা ও আইনমন্ত্রী বিচারক নিয়োগ দিতে পারবেন।
এ আইনের বিরোধিতা করেছে বিরোধী দল ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। তাদের অভিযোগ, নতুন আইনের ফলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে।
পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন দল ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির দাবি, আইনের এ সংস্কার দরকার ছিল। কারণ বিচার বিভাগ দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তারা শুধু এলিটদের জন্য কাজ করে।
প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় থাকা বিলের বিরোধিতা করে রোববার রাজধানী ওয়ারসয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিরোধী দল।
২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি সরকার একগুচ্ছ আইন সংস্কার ও প্রণয়ন করেছে, যা নিয়ে সে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে এবং এগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছে।
শনিবার সকালে পোল্যান্ডের সিনেটররা বিতর্কিত এই বিল পাশ করেন। বিচার নিয়োগ নিয়ে পোলিশ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান নিয়োগ প্রক্রিয়া অগণতান্ত্রিক। আমরা বিচার বিভাগের করপোরেটিজম শেষ করতে চাই এবং সেখানে গণতন্ত্রের অক্সিজেন দিতে চাই। কারণ আইনের শাসনের ক্ষেত্রে পোল্যান্ড একটি গণতান্ত্রিক দেশ।’