ডিএমপি নিউজঃ শেরেবাংলা নগর থানায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে করা মামলায় একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম কবির সরদার।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল ২০২২) সন্ধ্যা ৬:২৫টায় দারুসসালাম থানার হোটেল শাহ আলীতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম। এসময় তার হেফাজত হতে প্রতারণায় ব্যবহৃত ১০০ সৌদি রিয়াল ও আত্মসাৎকৃত ১৮ হাজার টাকা উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।
গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, গত ১৫/০২/২০২২ তারিখে মিরপুরের বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান ভূঁইয়া ছেলের চিকিৎসার জন্য গ্রিন রোডের গ্রীন লাইফ হাসপাতালে যান। সেখানে পরিচয় হয় কবির সরদারের সাথে। কবির সরদার নিজেকে আলমগীর নামে মিথ্যা পরিচয় প্রদান করে, বিনিময় হয় মোবাইল নম্বরের। পরবর্তীতে ভিকটিম শাহজাহানের কাছে একজন অসহায় ব্যক্তির কিছু সৌদি রিয়াল বিনিময়ে সহায়তা চায় কবির। বিশ্বাস অর্জন করার জন্য প্রথমে সত্যিকার ১০০ রিয়ালের একটি নোট বিনিময় করে। অতঃপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে এক লাখ সৌদি রিয়ালের বিনিময়ের জন্য ১ লাখ টাকা অগ্রিম চায়। অবশিষ্ঠ টাকা পরে দিলেও চলবে বলে জানায়। ভিকটিম ১ লাখ টাকা দিলে তার হাতে একটি কথিত রিয়ালের ব্যাগ দিয়ে দ্রুত চলে যায় কবির। ভিকটিম ব্যাগটি খুলে দেখতে পায় তাতে গামছা দিয়ে মুড়ানো হুইল সাবানের একটি প্যাকেট রয়েছে। ভিকটিম বুঝতে পারে সে প্রতারিত হয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, উপর্যুক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৮ মার্চ ২০২২ তারিখে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম। মামলা তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় দারুসসালাম থানার হোটেল শাহ আলী হতে কবিরকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত কবির ৫ বছর পূর্বে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসে। দেশের আসার পর থেকেই সে রিয়াল বিনিময়ের কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। তার প্রতারণার কৌশল ছিল প্রথমে অল্প পরিমাণ রিয়াল বিনিময় করে বিশ্বাস অর্জন করতো। পরবর্তীতে বড় অংকের রিয়াল বিনিময়ের সময় রিয়ালের পরিবর্তে গামছায় মুড়ানো হুইল সাবানের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত চলে যেতো।
গ্রেফতারকৃতকে শেরেবাংলা নগর থানায় রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
ডিএমপি’র গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার, পিপিএম (বার) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিরপুর জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।