শেষমেশ চাপের মুখে পড়ে প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল হংকং প্রশাসন। এরপরেও বিক্ষোভ যে উঠে যাবে, এমন লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের ৫ দফার দাবির একটি সবে মানা হয়েছে। পুলিশের নির্যাতন নিয়েও কঠোর অবস্থান নিতে হবে বলে দাবি তাঁদের।
চীনের স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ে নয়া বন্দি প্রত্যর্পণের বিল এনে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে প্রশাসন। এই বিক্ষোভ শুধু বন্দি প্রত্যর্পণের বিলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বেইজিংয়ের চোখ রাঙানির থেকে মুক্তির দাবিও ওঠে। চীনা আগ্রাসনের থেকে মুক্তি পেতে কয়েক হাজার মানুষ পথে নামেন। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের শান্তিপূর্ণ মিছিল বা বিক্ষোভে পুলিশ অকথ্য লাঠিচার্জ করে। প্রমাণ ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়। এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালাতে চীনের প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার পিছনে প্রত্যক্ষ সম্মত রয়েছে চিনফিংয়ের সরকারের। চীনের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনে এক রাষ্ট্র দুই নীতির বার্তা দেন শি চিনফিং। হংকংয়ের মানুষকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দেওয়া চীনেরর মূল ভূখণ্ডের মতো হংকংয়ের উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখার আশ্বাসবাণী শোনান তিনি। যদিও, বাকি ৪ দফার দাবি না মানা হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।