প্রথমবারের মত বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করল। এর আগে এই মাসেই রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়নের ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। ভালো রেমিটেন্স এবং বিদেশি সংস্থার ঋণের কারণে রিজার্ভ বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, এর আগে গত ৩ জুন প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। আজ বুধবার দিনশেষে রিজার্ভের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলার বা তিন হাজার ৫০৯ কোটি ডলার।
কেন্দ্রিয় ব্যাংক বলছে, মূলত প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। এর বাইরে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি থেকে বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ আছে। এর ফলে রিজার্ভ বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালানাগদ তথ্যে গেছে, চলতি জুনের ২২ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ মাত্র ২২ দিনে ১৩৬ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা। গত বছরের পুরো জুনে রেমিটেন্স আসে ১৩৭ ডলার। আর চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২২ জুন পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ৭৭২ কোটি ডলার। যেখানে গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও মোট রেমিটেন্স আসে ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ডলার। করোনাকালে রেমিটেন্স বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমলেও বছর শেষে রেকর্ড পরিমান রেমিটেন্স আসবে। সুতরাং আগের বছরের একই মাসের তুলনায় চলতি জুনে রেমিট্যান্স বাড়বে। এভাবে রেমিট্যান্স বাড়লেও আমদানি দায় পরিশোধের তেমন চাপ নেই। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রচুর ডলার কিনতে হচ্ছে।
রেমিটেন্স বৃদ্ধির সম্পর্কে জানা যায়, লক ডাউনের কারণে হুন্ডি একেবারেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বন্ধ হয়ে গেছে। হুন্ডি কারবারীরা মানুষের কাছে গিয়ে গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করত। চলাফেরায় বিধিনিষেধ থাকায় প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বেশি পাঠাচ্ছেন। এছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠানের টাকা আসছে যেগুলো সাধারণ জুন মাসেই এসে থাকে। অন্যদিকে নানা কারণে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন এমন প্রবাসীরা আগের জমানো টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন।
এর আগে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল ২০১৭ সালের ২২ জুন। এরপর থেকে রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে উঠানামা করছিল। তবে করোনাভাইরাসের সময়ে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে।