রংপুর রাইডার্সকে ১১ রানে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেল চিটাগং ভাইকিংস।প্রথমে ব্যাট করে ভাইকিংস করে ১৬৬ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে ১৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় রংপুর রাইডার্স ।
১৬৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। ২০ রানের মধ্যেই জনসন চার্লস ও জিয়াউর রহমানকে হারায় উত্তরাঞ্চলের দলটি। রংপুরের রান যখন মাত্র ২, সানজামুলের বলে লেগ বিফোর আউট হন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস। এরপর ৩ বলে ১১ রান করে ঝড়ের আভাস দিচ্ছিলেন জিয়াউর রহমান। তবে তাঁকে ফেরান শুভাশীষ। মোহাম্মদ মিঠুন ও রবি বোপারা লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন রংপুরকে। তবে দলীয় ৫৬ রানে ফিরে যান মিঠুন। ১৫ বলে ২৩ রান করেন তিনি।
শাহরিয়ার নাফীস ও বোপারা মিলে যোগ করেন ৪৯ রান। সেই সময় দারুণ অবস্থায় ছিল রংপুর। তবে তাসকিন এসে বদলে দেন খেলার চিত্র। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে এই পেসার ফিরিয়ে দেন নাফীসকে। পরের বলে শামিউল্লাহ শেনওয়ারিকে ফিরিয়ে ম্যাচটা নিজেদের দিকে নিয়ে চলে আসেন তিনি। সেই ওভারের শেষ বলে বোপারা রান আউট হলে রংপুরের আশা শেষ হয়ে যায়। এরপর মাশরাফি-মালিঙ্গা-সোহাগ গাজীরা ভালো চেষ্টা করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৫৫ রানই করতে সমর্থ হয় দলটি।
এর আগে দারুণ শুরু করেও ২০ ওভারে মাত্র ১৬৬ রান করে থেমে যায় চিটাগং ভাইকিংসদের ইনিংস। অথচ ম্যাচে কী দুর্দান্তভাবেই না শুরু করেছিল মিসবাহ উল হকের দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লুক রঞ্চি একাই রংপুরের বোলারদের শাসন করে চলেন। প্রথম ৫ ওভারে দলটির স্কোর ছিল ৬৩ রান। আজ দিনের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান সৌম্য সরকার। মাশরাফির বলে জিয়াউরকে ক্যাচ দেন তিনি। চিটাগংয়ের রান তখন ৫৯। সৌম্যর রান মাত্র ৭!
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন রঞ্চি ও মুনাবিরা। ৯৯ রানে আউট হন লুক রঞ্চি। মাত্র ৩৫ বলে সাতটি ছক্কা ও সমানসংখ্যক চারে ৭৮ রান করেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। গত ম্যাচে ২১ বলে ৪০ রান করেছিলেন তিনি।
ভাইকংসদের রানটা আরো বাড়তে পারত। তবে মিডল অর্ডারে একেবারে শম্ভুক গতির ব্যাটিং করেন অধিনায়ক মিসবাহ ও লুইস রিস। ১৬ বলে ১০ রান করে আউট হন রিস আর মিসবাহ করেন ৩২ বলে মাত্র ৩১ রান। অপর ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় ১৪ বলে করেন ১৭ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ১১ রানে জয়ী চিটাগং ভাইকিংস।
চিটাগং ভাইকিংস ইনিংস: ১৬৬/৪ (২০ ওভারে)
(লুক রঞ্চি ৭৮, সৌম্য সরকার ৭, দিলশান মুনাবিরা ২০, লুইস রিসি ১০, মিসবাহ উল হক ৩১*, এনামুল হক বিজয় ১৭*; রবি বোপারা ২/১৪, মাশরাফি বিন মুর্তজা ১/২৮, থিসারা পেরেরা ১/১৬)।
রংপুর রাইডার্স ইনিংস: ১৫৫/৮ (২০ ওভার)
(জনসন চার্লস ১, জিয়াউর রহমান ১১, মোহাম্মদ মিথুন ২৩, রবি বোপারা ৩৮, শাহরিয়ার নাফিস ২৬, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ০, থিসারা পেরেরা ১১, মাশরাফি বিন মুর্তজা ১৩, সোহাগ গাজী ১১*, লাসিথ মালিঙ্গা ১৪*; সানজামুল ইসলাম ১/২১, শুভাশিস রায় ১/৩৫, তাসকিন আহমেদ ৩/৩১, লুইস রিসি ২/২৬, সিকান্দার রাজা ০/১৬, তানভীর হায়দার ০/২৪)।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: তাসকিন আহমেদ (চিটাগং ভাইকিংস)।