রোহিঙ্গ সংকট নিয়ে মায়ানমারের রাষ্ট্রহীন নাগরিকদের রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ দফা প্রস্তাব বিশ্ব নেতৃত্বের পরিচয়। প্রতিটি প্রস্তাব বাংলাদেশ-মিয়ানমারের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা হিসেবে নয়, বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দেখানো হয়েছে। এ প্রস্তাবগুলো তাকে বিশ্ব নেতৃত্বে অন্যন্য অবস্থানে নিয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে শেখ হাসিনার দূরদর্শী বিশ্ব নেতৃত্ব’ শীর্ষক সেমিনার বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের নেতা নূহ-উল আলম লেনিন, সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমীমা হোসেন ও বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক শামসুদ্দিন আহমেদ পেয়ারা ও স্বদেশ রায় প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিএফইউজে সহ-সভাপতি জাফর ওয়াজেদ ও সঞ্চলনায় করেন দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দফা প্রস্তাব রেখেছে। যা পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন প্রধানমন্ত্রীর মেধা, নেতৃত্ব কত বিরল। রোহিঙ্গা আশ্রয় দিলে আমাদের কোনো লাভ নেই। উল্টো ক্ষতি হতে পারে। রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়ার পুরো বিষয়টা মানবিক এবং মানবতার দৃষ্টান্ত।
বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে মিয়ানমার-বাংলাদেশ দু’দেশের জন্য ভালো। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কূটনৈতিকভাবে সঠিক পথে এগোচ্ছে। মায়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু’চি শান্তিতে নোবেল জয়ী হলেও তিনি মানবতাবিরোধী। অন্যদিকে মানবতার দিশারী আমাদের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা শর্তছাড়া, দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তার পাঁচটি দফা বিশ্ব নেতৃত্বের পরিচয়। তিনি তার প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সমস্যাকে বাংলাদেশ-মায়ানমারের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা হিসেবে নয়, বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দেখিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, পৃথিবীতে এখন একমাত্র রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্র নেই, জাতিসংঘের উচিত দ্রুত তাদের রাষ্ট্রীয় পরিচয় দেওয়া। একমাত্র জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সুপারিশের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সম্ভব। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মানবিকতার সর্বোচ্চ শিকড়ে নিয়ে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।