আজ দেশ জুড়ে একযোগে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রশ্নফাঁস রোধে যে সকল ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব, তার সবই নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সোমবার সকালে, রাজধানীর সিদ্ধেশরী গালর্স কলেজ পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমরা পরীক্ষা যাতে নকলমুক্ত হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয় সেই জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। প্রশ্নফাঁস নিয়ে সত্য-মিথ্যা নানা কথা হয়েছে। এগুলো মোকাবিলা করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। এখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মাহাবুবুর রহমান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক প্রমুখ।
আজ থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলবে ২৩শে মে পর্যন্ত। এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী।
গেলোবারের তুলনায় এবার শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৯৭ হাজার ৬৮৪ জন শিক্ষার্থী। যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৫৭৩টি কলেজ থেকে অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ২২ হাজার ৩০ শিক্ষার্থী। সিলেটে গত বছরের তুলনায় এবার এইচএসসিতে বেড়েছে শিক্ষার্থী ও কেন্দ্র সংখ্যা। বোর্ডের অধীনে ২৮৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭১ হাজার ৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী ৭৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেছেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এবার নতুন বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন উদ্যোগ অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করে। এছাড়া, পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে সেট কোড ব্যবহারের নির্দেশনার এসএমএস যাওয়ার পর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কারো মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি নেই। আর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল হবে সম্পূর্ণ এনালগ। তাতে ক্যামেরা ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে না।