ডিএমপি নিউজ : রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকায় ভিকটিমকে প্রাইভেট কারে জিম্মি করে অর্থ আত্মসাৎ ও মারধর করার সময় চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তুরাগ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ সুদেব, তামিম চৌধুরী, আবু সাঈদ ও ফিরোজ আশরাফ হিমু। এসময় তাদের হেফাজত থেকে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা- মেট্রো-গ-১৪-৬২৭৯), ছয়টি মোবাইল ফোন, নগদ ৫,৫০০ টাকা, ১টি স্ক্রু ড্রাইভার, গাড়ির চাকা খোলার ১টি ঢালী উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মওদুত হাওলাদার ডিএমপি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ১৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর ১টায় তুরাগ থানার ১৭নং সেক্টরে মেট্রোরেলের ৩নং স্টেশনের ১০৬নং ও ১০৭ নং পিলারের পশ্চিম পাশে এএসআই মোঃ সোহেল রানার নেতৃত্বে চেকপোস্ট চালানোর সময় একটি প্রাইভেটকারকে তারা থামার সিগনাল দেন। চালক গাড়িটি না থামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এএসআই মোঃ সোহেল রানা বাধা দেন এবং এএসআই মোঃ গোলাম রসূল ও মোঃ আসাদুল হক সঙ্গীয় ফোর্স ও মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়িটির সামনে-পিছনে অবস্থান নিয়ে গাড়ি থামাতে বাধ্য করেন।
তিনি বলেন, তখন প্রাইভেটের ভিতর থেকে একজন চিৎকার করে বলে যে, স্যার আমাকে বাঁচান, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। পুলিশ অফিসারগণ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিলে ডিউটিরত অফিসার এসআই মোঃ শওকত মিঞা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় প্রাইভেটকারের ভিতরে থাকা জিম্মি ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ভিকটিমকে কালসি এলাকা থেকে কৌশলে গাড়িতে উঠিয়ে জিম্মি করে তারা কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এরপর আরো ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায়ের জন্য গ্রেফতারকৃতরা ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনকে ফোন করে। এরপর গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা ভিকটিমকে নিয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকে। প্রাইভেট কারটি চেকপোস্টে আসলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গাজীপুরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।