দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোয়াজ্জ্বল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা আমাদের আছে। ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের চালিকা শক্তি।
মন্ত্রী রোববার রাতে নাটোরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত চলা সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এম.পি, ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল এম.পি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামাল সহ নাটোর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগের দেশ। দুর্যোগের মধ্যেই আমাদের বসবাস। কিন্তু আমরা জানি, কিভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের এই সক্ষমতা সারাবিশ্বে প্রশংসিত।
মায়া বলেন, দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কাজ করা হলে দুর্যোগ মোকাবেলায় সুফল পাওয়া যায়। এজন্যে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরতদের সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের খাদ্যের অভাব নেই। বানভাসী মানুষের দুর্দশা লাঘবে তালিকা নয় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে উপস্থিত সবাইকে ত্রাণ দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সকল গৃহ নির্মাণে ঢেউটিন ও টাকার ব্যবস্থা করা হবে।
ত্রাণ মন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সংগতি রেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে বন্যা শুরুর আগেই ফসল তোলার ব্যবস্থা হিসেবে আগাম জাতের বীজ উদ্ভাবন করা প্রয়োজন। কৃষকদের স্বার্থে এই ব্যবস্থা করা গেলে কৃষক বাঁচবে, দেশও বাঁচবে। নদী ও খাল পুনঃখনন করে নাব্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্যা মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
সভায় সিংড়া, নাটোর ও নলডাঙ্গা উপজেলার চলনবিল ও হালতি বিলের প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান হয় এবং এলাকার ৩০০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে ও দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান হয়।
মন্ত্রী আজ সোমবার নাটোরের চলনবিল ও হালতি বিল এলাকায় অতি ও আগাম বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা দুর্গত মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন।