ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির লাভার নিচে জীবন্ত কবর হয়েছিল প্রাচীন রোমান সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন বলা হয়ে থাকে পম্পেই নগরীকে। সেটি প্রায় দুই হাজার বছর আগের ঘটনা। সেসময়ের মারা যাওয়া দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছেন দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিকেরা।
৭৯ খ্রিষ্টাব্দে সেসময়ে পৃথিবীর অন্যতম অভিজাত জনপদ ছিল এটি। ভিসুভিয়াস পর্বতের আগ্নেয়গিরির দুই দিনব্যাপী সর্বনাশা অগ্ন্যুৎপাতে পম্পেই নগরী সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ৬০ ফুট উঁচু ছাই এবং ঝামা পাথর এর নিচে শহরটি চাপা পড়ে যায়।
ইতালির নেপলসের ২৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত পরিকল্পিত শহরটিতে বাস ছিল ১৩ হাজার মানুষের। আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভার নিচে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিলেন তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, প্রত্নতাত্ত্বিকেরা সেসময়ের দুই ব্যক্তির মরদেহের সন্ধান পেয়েছেন। পম্পেই নগরীর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এতদিন ধরে সংরক্ষিত ছিল মরদেহ দুইটি।
শনিবার ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বলছে, প্রায় দুই হাজার বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পুড়ে মরা দু’জন ব্যক্তির দেহাবশেষ আবিষ্কার করেছে তারা।
ওই দুই ব্যক্তির একজন সম্ভবত উচ্চ শ্রেণির মানুষ। তার বয়স ৩০ থেকে ৪০ বয়সের মধ্যে ধারণা করা হচ্ছে। তার ঘাড়ের নিচে পশমের তৈরি কাপড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
দ্বিতীয় ব্যক্তির বয়স ছিল ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তার পরনে পোশাক আশাক দেখে মনে হচ্ছে তিনি ছিলেন প্রথম ব্যক্তির দাস।
তাদের অবস্থান দেখে ধারণা করা হচ্ছে, আচমকা বিপর্যয় ধেয়ে আসায় তারা পালানোর সুযোগ পাননি বা পালাতে গিয়েও মুখ থুবড়ে পড়ে যান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, সিভিটা গিউলিয়ানা নামক একটি অঞ্চলে দেহাবশেষ দুইটি পাওয়া যায়। প্রাচীন পম্পেইয়ের কেন্দ্র থেকে ৭০০ মিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এই অঞ্চলটি।
সেখানে খনন করা এক বিশাল চেম্বার থেকে তাদের দেহাবশেষগুলো উদ্ধার করা হয়। ওই দুই ব্যক্তির হাড় ও দাঁতগুলো এখনো সুরক্ষিত। তবে বাকি অংশগুলো লাভার পলেস্তারায় ঢাকা পড়ে।