করোনার টিকা ট্রায়ালের প্রাথমিক পর্যায়েই ভালো সাড়া পেল জনসন অ্যান্ড জনসন এর তৈরি ভ্যাকসিন । জানা যায়, এই ভ্যাকসিনের প্রথম ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়ে স্ট্রং ইমিউন রেসপন্স পাওয়া গিয়েছে। জনসন অ্যান্ড জনসনের এই ভ্যাকসিনের সিঙ্গল ডোজেই সাফল্য এসেছে বলে খবর।
প্রাথমিক থেকে মধ্যবর্তী পর্যায়ে পৌঁছনোর স্তরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছিল জনসন অ্যান্ড জনসন। শুক্রবার সেই বিষয়েই একটি অন্তর্বতী রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ওই সংস্থা। জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনটির নাম Ad26.COV2.S। দুটি ভিন্ন ডোজ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভ্যাকসিনটি। তবে প্রাথমিক ভাবে সিঙ্গল ডোজেই বেশ ভালো সাড়া মিলেছে বলে জানিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।
তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের এই ভ্যাকসিনের কটি ডোজ শিশুদের ও কটি ডোজ পূর্ণবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত হবে, তা এখনও জানা যায়নি। এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন এক হাজার জন স্বেচ্ছাসেবক। জুলাই মাস থেকে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে।
প্রাথমিকভাবে বাঁদরদের ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে সাফল্য মেলে। বুধবারই জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন ৬০ হাজার জনের ওপর প্রয়োগ করা হয়। এই বছরের শেষেই ভ্যাকসিনটি তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করবে। উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি ইতিমধ্যেই মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
যাতে পর্যাপ্ত উৎপাদন ব্যবস্থা করা যায় দ্রুত। শুধু তাই নয়, এর কার্যকারিতা প্রমাণ হওয়ার আগেই ২০২১ সালে ওই টিকার এক বিলিয়ান ডোজ উৎপাদন করা যায় সেই টার্গেট নিয়েছে সংস্থা। এই সংস্থা সমীক্ষা করবে প্রতিষেধক টিকাটির নিরাপত্তা এবং প্রতিষেধক ক্ষমতা কতটা তার ওপর।
এজন্য ১৮ থেকে ৫৫ বছরের পাশাপাশি ৬৫ বছর কিংবা তারও বেশি বয়সের এমন ১০৪৫ জন লোকের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করে দেখা হয় এই টিকা। মূলত জনসন অ্যান্ড জনসনের এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বেলজিয়ামে।
জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ৬৫ বছরের উর্দ্ধে যাঁরা, তাঁদের মধ্যে ৩৬ শতাংশের ক্লান্তি ও মাংসপেশীতে ব্যথা অনুভব হয়েছে। ৬৪ শতাংশ অপেক্ষাকৃত কমবয়েসীদের মধ্যে সেই সমস্যা দেখা দেয়নি।