প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে এবার মোট বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৪৫৯ জন শিক্ষার্থী।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল নিজ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তির ফল ঘোষণা করে জানান, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হতো। ২০১৫ সাল থেকে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৫০০ করা হয়েছে।
এবার ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) ৩৩ হাজার এবং ৪৯ হাজার ৪৫৯ জন শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সাধারণ কোটায় ইউনিয়ন বা পৌরসভার ওয়ার্ড, উপজেলা বা থানা ও বিভাগ পর্যায়ে বৃত্তি বণ্টনের পর ৪১টি বৃত্তি অবশিষ্ট রয়ে গেছে।
ঝড়ে পড়া রোধ, শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয় বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সব শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পারে।’
বর্তমানে সাধারণ কোটায় বৃত্তির সংখ্যা ৫০০ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই হিসাবে মোট সাত হাজার ৯৮৬ ইউনিয়ন বা পৌরসভার ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ছয়টি করে (৩ জন ছাত্র ও ৩ জন ছাত্রী) ৪৭ হাজার ৬৭৬টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি এক হাজার ৮২৪টি বৃত্তি থেকে প্রতিটি উপজেলা বা থানা থেকে আরও তিনটি করে ৫০৯টি উপজেলা বা থানায় এক হাজার ৫২৭টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। সাধারণ বৃত্তি থেকে প্রতিটি জেলায় আরও চারটি করে ৬৪ জেলায় ২৫৬টি বৃত্তি বণ্টন করা হয়েছে।’
গণশিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০১৫ সাল থেকে বৃত্তির সুবিধাও বাড়ানো হয়েছে। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২০০ টাকা দেওয়া হত। বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা দেওয়া হচ্ছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তিন বছর ধরে এ হারে অর্থ পাবে।
গত ২৯ ডিসেম্বর প্রাথমিক সমাপনীর ফল প্রকাশিত হয়। এতে পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ জন।
এর আগে প্রাথমিকে বৃত্তির জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হত। ২০১০ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হলে ফলের ভিত্তিতেই ভিত্তি দেওয়া হচ্ছে।