করোনা মহামারির কারণেই সীমিত আয়োজনে শেষ বিদায় দেয়া হবে ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপকে। শুধুমাত্র ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্যরাই উপস্থিত থাকবেন তাঁর শেষকৃর্তে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও আগামী ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিচ্ছেন না।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সদ্য প্রয়াত স্বামী প্রিন্স ফিলিপকে জিব্রাল্টারে গান স্যালুটের মাধ্যমে এভাবেই সম্মান জানানো হয়। রাজকীয় জাহাজ এইচএমএস ডায়মন্ডের পাশাপাশি লন্ডন, এডিনবরা, কার্ডিফ, বেলফাস্ট থেকেও গান স্যালুট দেয়া হয়। এদিকে, ব্রিটেনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনে স্মরণ করা হচ্ছে প্রিন্স ফিলিপকে। বিশ্বনেতারাও শোক প্রকাশ অব্যাহত রেখেছেন।
গেল শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ডিউক অব এডিনবরার মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে গোটা ব্রিটেনজুড়ে। করোনার কারণে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রায় ৭৩ বছর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে আগলে রাখা প্রিন্স ফিলিপকে শ্রদ্ধা জানাতে বাকিংহাম প্যালেসের সামনে জড়ো হয় অসংখ্য মানুষ। এ সময় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার পাশাপাশি প্রিন্স ফিলিপকে প্রকৃত ‘নায়ক’ আখ্যা দেন তারা।
দেশটির সাধারণ জনগণ বলেন, প্রিন্স ফিলিপ আমাদের কাছে এক রকম প্রেরণা ছিলেন। তাকে দেখে আমরা শিখেছি সাধারণ মানুষও অসাধ্য সাধন করতে পারে। প্রিন্স ফিলিপের প্রতি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা দেখে আবেগাপ্লুত ছেলে প্রিন্স চার্লসও।
প্রিন্স চার্লস বলেন, প্রিন্স ফিলিপের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ীই করোনা বাস্তবতাকে মেনে সীমিত আয়োজনে তাকে শেষবিদায়ের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। আগামী ১৭ এপ্রিল উইন্ডসর ক্যাসেলে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এতে কেবল রাজপরিবারের ৩০ জন সদস্য উপস্থিত থাকবেন। করোনা মহামারীর কারণে বিধিনিষেধ থাকায় এতে যোগ দিতে পারছেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।