তিনি বলেছেন, ইন্টারনেটের ঝুঁকি রয়েছে। সেটা হলো সেখানে মানুষ সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা বাস্তবতার মুখোমুখি হতে পারে। পক্ষপাতদুষ্ট তথ্যের আবরণ সেখানে মানুষকে গ্রাস করতে পারে।এতে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণাও জন্মাতে পারে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা এমনটাই বলেছেন। ব্রিটেনে বুশ হাউজে বিবিসির রেডিও ফোরের ‘টুডে’ অনুষ্ঠানে তার সাক্ষাৎকার নেন যুবরাজ প্রিন্স হ্যারি। একদিনের জন্য বিবিসিতে অতিথি সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন এই ব্রিটিশ যুবরাজ।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি ইঙ্গিত করে ওবামা বলেন, যারা নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের উচিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্ব নিয়ে মতামত পোস্ট করা। আমরা যখন ক্ষমতায় থাকি তখন ইন্টারনেটে সর্বসাধারণের ব্যবহারযোগ্য একটা জায়গা করতে হবে। আর সেটা কীভাবে তৈরি হবে তা আমাদেরই ভাবতে হবে।
বিবিসি বলছে, টুইটার ব্যবহারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ এগিয়ে। তবে দায়িত্ব পালনের সময় টুইট করার সময় নাম উল্লেখ করেননি ট্রাম্প। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেশি মাত্রায় টুইটার ব্যবহার করেন তিনি, তবে খুবই সীমিতসংখ্যক ব্যবহারকারী তাকে ফলো করেন।
কিন্তু ট্রাম্পের যুক্তি, এর মাধ্যমেই তিনি আমেরিকার জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে পারেন।
এ বিষয়ে ওবামা বলেন, উগ্র মতামত খণ্ডন করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সরাসরি মানুষের মুখোমুখি হওয়া। অভিন্ন স্বার্থের মানুষের মধ্যে যোগাযোগের জন্য খুবই শক্তিশালী মাধ্যম সোশাল মিডিয়া।