প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ১৩ মিনিটের একটা স্পেল। আর তাতেই কেঁপে গেল ওয়াটফোর্ড রক্ষণ। ঘরের মাঠে লিগ টেবিলে অষ্টমস্থানে থাকা ক্লাবটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান মজবুত করল পেপ গুয়ার্দিয়োলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। হ্যাটট্রিক করলেন ইংরেজ স্ট্রাইকার রহিম স্টার্লিং।
প্রথম একাদশে সাতটি পরিবর্তন করে সিটির বিরুদ্ধে দল সাজান ওয়াটফোর্ড কোচ। ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলে প্রথমার্ধ জুড়ে তারা আটকে দিতেও সমর্থ হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ম্যান সিটির শক্তিশালী আক্রমণভাগের সামনে প্রথম ৪৫ মিনিট চূড়ান্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে গুয়ার্দিয়োলার দলকে ডেডলক খুলতে দেয়নি ওয়াটফোর্ড।
কিন্তু বিরতির পর সাজঘর থেকে ফিরেই ডেডলক ভাঙে স্কাই ব্লু ব্রিগেড। অফসাইডের গন্ধ মিশে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে আগুয়েরোর অ্যাসিস্টে গোল করে যান স্টার্লিং। প্রথমে অফসাইডের কারণে নাকচ হলেও পরে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে ম্যান সিটিকে তাদের প্রথম গোলটি দেন রেফারি। ৪ মিনিটে বাদে ডানদিক থেকে বক্সের মধ্যে মাহরেজের ঠিকানা লেখা পাস গোলে ঠেলে স্কোরলাইন ২-০ করেন ইংলিশ স্ট্রাইকার স্টার্লিং।
আক্রমণে ঝড় তুলে সময়ের কাঁটা একঘন্টা ছোঁয়ার ১ মিনিট আগে ম্যাচের তৃতীয় গোলটি তুলে নেয় ম্যান সিটি। দাভিদ সিলভার দুর্দান্ত থ্রু বক্সের মধ্যে নিজের দখলে নিয়ে বিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন স্টার্লিং। একইসঙ্গে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন তিনি।
এরপর ৬৬ মিনিটে ওয়াটফোর্ড সিটির জালে একবার বল ঢোকালেও ম্যাচ জয়ের জন্য তা কখনওই পর্যাপ্ত ছিল না। ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে দ্বিতীয়স্থানে থাকা লিভারপুলের থেকে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে গেল ম্যান সিটি। ৩০ ম্যাচে গুয়ার্দিয়োলা ব্রিগেডের পয়েন্ট সংখ্যা ৭৪। এক ম্যাচ কম খেলে দ্বিতীয়স্থানে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৭০।
অন্য ম্যাচে সাউদাম্পটনের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই থেকে অনেকটাই দূরে চলে গেল তৃতীয়স্থানে থাকা টটেনহ্যাম। চলতি সপ্তাহেই ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে জায়গা পাকা করলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে এদিন ১-২ গোলে হেরে বসল স্পারস।