ডিএমপি নিউজ : আকর্ষণীয় ছবি, সুন্দর বচনভঙ্গি আর মোহনীয় রূপে আকৃষ্ট হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হৃদিতা রহমানের সাথে মাত্র পাঁচ দিনের পরিচয়েই নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসে ফতুল্লা নিবাসী ইউনুস (২৭)।
ওয়ারী থানাধীন সেন্ট্রাল উইমেন কলেজ প্রাঙ্গণে দেখা হওয়ার স্থান নির্ধারিত থাকায় ইউনুসের মনে বিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। গভীর বিশ্বাস নিয়ে গত ১৪ মার্চ ২০২৩ খ্রি. ইউনুস হৃদিতার সাথে দেখা করতে ঢাকায় আসে। সেখানে পৌঁছামাত্রই হৃদিতার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এগিয়ে আসে আদনান ও জিসান। যথারীতি সে এগিয়ে যেতে থাকে এক গলি ধরে। হৃদিতার দেখা আর মেলে না। ততক্ষণে ইউনুস বুঝলো হৃদিতা নামে কেউ নেই; অবশ্য পেছনে ফেরারও আর কোন উপায় নেই! দুজন ইউনুসকে নিয়ে এলো এক লেপ তোশকের গোডাউনের সামনে।
আগে থেকেই অবস্থান করা তামিমসহ সকলে মিলে ইউনুসকে আটকালো সেই গোডাউনে। সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, দামি ঘড়ি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে মুক্তিপণের জন্যে ফোন দেয়া হলো ইউনুসের বন্ধুকে।
ফোন পেয়েই বিপদ বুঝে বন্ধু সরাসরি ওয়ারী থানা পুলিশের সহায়তা চায়। সংবাদ পেয়ে ওয়ারী থানার চৌকস টিম ঝটিকা অভিযান চালিয়ে দ্রুত আলামতসহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সফল হয়।
পরবর্তীতে জানা যায়, মূল অভিযুক্ত আদনান আগেও এরকম ১২-১৪টি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইনে প্রেমের ফাঁদ পেতে প্রতারণার মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে জিম্মি ও সর্বস্ব লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে। সঙ্গী ‘জয়’কে নিয়ে ইতোপূর্বে আদনান নিজের বাড়ির খোলা ছাদে সমস্ত ঘটনা ঘটিয়েছে। সেসব ঘটনায় ভুক্তভোগীরা হয়তো লোকলজ্জার ভয়ে পুলিশের কাছে পূর্বে কোন অভিযোগ করেননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় চক্রান্তের এই চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।