বিদ্যুতের অপচয়রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে প্রিপেইড বিদ্যুতের মিটার ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমি সবাইকে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়ে বলব, এটা হলে সিস্টেম লস হবে না।… আপনি যেটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন শুধু সেটুকুরই বিল আপনাকে পরিশোধ করতে হবে। …আর প্রয়োজন শেষে নিজের ঘরের বৈদ্যুতিক বাতি এবং ফ্যানের সুইচটি নিজ হাতে বন্ধ করে দিন। …এ ব্যাপারে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি।’
বিদ্যুৎ ব্যবহারে জনগণকে সাশ্রয়ী হবার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর সরকার সারাদেশে বিদ্যুতের অপচয়রোধে প্রিপেইড মিটার অন্তর্ভুক্ত করবে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ একটি দেশ ও জনগণের সম্পদ। কাজেই আমি সবাইকে এটি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার অনুরোধ জানাব।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আশুগঞ্জ ৪৫০ মে.ও. নর্থ কম্বাইন্ড সাইকল, সিম্পল সাইকল প্লান্ট (উত্তর) এবং ১০৮ মে.ও. ক্ষমতা সম্পন্ন কেরানিগঞ্জ ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি অনুষ্ঠানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে রেডিয়াল মোডে অতিরিক্ত ৬০ মে.ও. বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রমও উদ্বোধন করেন।
যেসব উপজেলা শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় এসেছে সেগুলো হচ্ছে– বাঘেরহাটের মোল্লাহাট এবং ফকিরহাট, দিনাজপুরের হাকিমপুর, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ এবং সিলেট সদর, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এবং নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বলানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক–ই–এলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক বিদ্যুৎ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন। মুখ্য সচিব ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় শ্রেনী পেশার জনগণের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।-বাসস