ডিএমপি নিউজ: অর্থের উৎস নিয়ে সন্দেহ থাকা সত্বেও গত দুই দশকে বিপুল পরিমাণ ‘সন্দেহজনক অবৈধ অর্থ’ লেনদেন করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলো সম্প্রতি ফাঁস হওয়া মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমস এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্কের (ফিনসেন) গোপন নথিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর: রয়টার্স ও ডয়েচে ভেলে।
এসব নথিতে পাঁচটি বৈশ্বিক ব্যাংকের নাম বেশি উঠে এসেছে এগুলো হলো এইচএসবিসি হোল্ডিংস, জেপি মরগান চেজ অ্যান্ড কোম্পানি, ডয়েচে ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ব্যাংক অব নিউইয়র্ক মেলন করপোরেশন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) তাদের ওয়েবসাইটে ফিনসেনের নথিগুলো প্রকাশ করেছে।
ফিনসেন গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর আড়াই হাজারের বেশি নথি, দুই হাজারের বেশি গোপন এবং সন্দেহজনক তথ্য ফাঁস হওয়ার কারণে তথ্যগুলো উদঘাটন হয়েছে।
ফিনসেন জানিয়েছে, তাদের হাতে দুই হাজার ৬৫৭টি নথি রয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ১০০টি ‘সাসপিশাস অ্যাক্টিভিটি রিপোর্ট’ (এসএআরএস) বা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য। তবে এসএআরএস মানেই যে অপরাধমূলক কোনো কিছু, তা নয়। কোনো অ্যাকাউন্টধারীকে ব্যাংকের সন্দেহ হলে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর এসএআরএস পাঠানো হয়। কোনো ব্যাংক একটা এসএআরএস পাঠিয়ে তাদের চ্যানেলে প্রতারক বা কালো টাকার মালিকের অর্থ স্থানান্তর করবে, এটাও আইনসিদ্ধ নয়। অথচ ব্যাংকগুলো এমনটি করেছে বলে অভিযোগ। আইন অনুযায়ী, এ ধরনের অ্যাকাউন্টধারীর অর্থ স্থানান্তর ব্যাংকের আটকানোর কথা।