ডিএমপি নিউজঃ ফ্রিল্যান্সিংএর মাধ্যমে উপার্জিত ভার্চুয়াল মানি বিক্রয়ের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থ আত্মসাৎকারী একটি প্রতারক চক্রের আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলো- মোঃ ইদ্রিস আলী। এসময় তার হেফাজত থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০১ টি মোবাইল সেট এবং একটি সিম কার্ড উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম, পিপিএম ডিএমপি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জনৈক মোঃ গোলাম বারিউল মজিব একজন বেসরকারী ব্যাংক কর্মকর্তা। অনলাইনে জনৈক ব্যক্তির ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডির সাথে Kaiyum Sheikh ও Dipro Das নামক ফেসবুক আইডির ব্যক্তিদ্বয়ের সাথে পরিচয় হয়। Kaiyum Sheikh জনৈক ব্যক্তির ফেসবুক আইডিকে একটি Freelancer নামক ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে অ্যাড দেয়। এরপর Dipro Das জনৈক ব্যক্তিকে জানায় ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে একটি বিদেশি কোম্পানির থেকে উপার্জিত মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক তার পাওনা আছে। যেহেতু জনৈক ব্যক্তি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা তাই তার কাছে ভার্চুয়াল মানি দেশে আনার পদ্ধতি জানতে চায় Dipro Das। Dipro Das জনৈক ব্যক্তিকে জানায় কোম্পানিটি পাওনা অর্থ ডলারে পরিশোধ করতে চায় কিন্তু তা অনেক সময়সাপেক্ষ। তখন Dipro Das জনৈক ব্যক্তিকে তার কাছে যদি নগদ টাকা থাকে তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং পেমেন্ট পেলে সে টাকা জনৈক ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ডে দিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জনৈক ব্যক্তি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ১০,১৭,০০০/-(দশ লক্ষ সতের হাজার) টাকা Dipro Das কে প্রদান করেন। এরপর জনৈক ব্যক্তিকে Freelancer নামক ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ থেকে বের করে দেয় এবং ব্লক করে দেওয়া হয়। জনৈক ব্যক্তি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অনলাইন মনিটরিং ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গোলাম মাহবুব মোর্শেদ নামে একজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর ০৭ জুলাই ২০২২ ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোর্শেদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতকে ইতোমধ্যে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত মোর্শেদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনলাইন মনিটরিং ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইদ্রিস আলী নামে আরও একজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর ২৮ জুলাই ২০২২ তারিখে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে জব্দকৃত মালামালসহ ইদ্রিসকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ ইদ্রিস আলীসহ এ মামলায় সর্বমোট দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
গ্রেফতারকৃতকে উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়েরকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।