ডিএমপি নিউজ: বংশালে দস্যুতার মামলা রুজু হওয়ার বার ঘন্টার মধ্যেই ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ও টাকাসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) বংশাল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তির নাম মোঃ শাহীন আহম্মেদ ওরফে মহিউদ্দিন (৩০)।
বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন ফকির বিপিএম ডিএমপি নিউজকে জানান, জনৈক ভদ্র ব্যক্তি ১৯ জানুয়ারি ২০২০ রাত অনুমান ২টায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নামেন। এরপর রিকসা নিয়ে ওসমান গনি রোডের তার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে আলুবাজার বড় মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছিলে অজ্ঞাতনামা ৪ জন তার রিকসার সামনে এসে দাঁড়ায় এবং তাকে রিকসা থেকে নামতে বলেন। তিনি রিকসা থেকে নামতে না চাইলে তারা তাকে জোরপূর্বক রিকসা থেকে নামিয়ে চাকুর ভয় দেখিয়ে তার নিকট থাকা একটি Redmi Note 5 মুঠোফোন এবং মানিব্যাগ নিয়ে চলে যায়। যার মধ্যে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা ছিলো। এ ঘটনায় তিনি ওইদিন বংশাল থানায় অভিযোগ করেন যার প্রেক্ষিতে একটি দস্যুতার মামলা রুজু হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/শহীদুল ইসলাম বলেন, মামলাটি রুজুর পর থেকেই অফিসার ইনচার্জ স্যারের নেতৃত্বে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ২০/০১/২০২০ তারিখ রাত ০০.০৫ টায় বংশাল থানার ১নং শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণী সাধনা ঔষধালয়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে শাহীন আহম্মেদ ওরফে মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার নিকট হতে বাদীর ছিনতাই হওয়া মুঠোফোন Redmi Note 5 ও একটি কালো রংয়ের মানিব্যাগে রাখা নগদ ১৪,৫০০ টাকা উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মূখে উদ্ধার করা হয়।
শাহীন বাদীর ছিনতাই যাওয়া মালামাল ও নগদ টাকা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তার সহযোগী অন্যান্য ছিনতাইকারীদের সহযোগীতায় বাদীর উক্ত টাকা ও মালামাল ছিনতাই করেছে।
আজ শাহীন উক্ত ঘটনার বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে সেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। অন্যান্যদের গ্রেফতার অভিযান ও তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহীদুল ইসলাম।