সিপিএ চেয়ারপারসন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শন নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৭’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ, হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য কাজী রোজী। সভায় উপস্থিত ছিলেন হুইপ- ইকবালুর রহিম, মো. শাহাব উদ্দিন ও মোছা. মাহাবুব আরা বেগম গিনি, সংসদ সদস্য সলিম উদ্দিন তরফদার প্রমুখ। সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক মো. কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল বারী ও কর্মচারীদের পক্ষে মো. আতর আলী বক্তব্য রাখেন। এ সময় পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতাসহ অন্যান্য সদস্যদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু ও শিশু রাসেলসহ নিহত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙ্গালী জাতির জীবনে এক শোকাবহ মাস। দীর্ঘদিন এ জাতি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য অপেক্ষা করেছে। ইনডেমিনিটি বিলের মাধ্যেমে এই বিচারে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্ত সত্যের জয় অনিবার্য, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। স্পিকার বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেন, জন্মেছিলে তুমি, জন্মেছে এ দেশ -মুজিব তোমার অপর নাম, স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো নেতা ও তার নেতৃত্ব এ বিশ্বে বিরল। স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের দু:খ-দুর্দশা গভীরভাবে উপলদ্ধি করতেন। তাই তিনি সারাটা জীবন আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে নিজের জীবন উৎসর্গ করে বাঙ্গালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। এ কারণে জীবনের অধিকাংশ সময় তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে। কোন প্রলোভন বা মোহই বঙ্গবন্ধুকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু ব্যতীত বাংলাদেশের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায়না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যারা অস্বীকার করে তারা বাঙ্গালী নয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায়ও তারা বিশ্বাসী নয়।
চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। সে কারণেই আজ বাংলাদেশ দিনে দিনে উন্নতির অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে।