বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার) বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একইসূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। তিনি আমাদেরকে একটি ভূখন্ড, একটি মানচিত্র এবং একটি পতাকা দিয়েছেন। তাঁর সমস্ত জীবন আবর্তিত হয়েছে বাঙালিকে নিয়ে। তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ চিন্তা করেছেন।
ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের নিয়েও চিন্তা করেছেন। তিনি ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধু মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন শিশু-কিশোররা জাতির অমূল্য সম্পদ। তারা দেশের ভবিষ্যত কারিগর। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়েছে।
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তখনই সার্থক হবে যদি তোমরা তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারো। তিনি মাদকের হাতছানি থেকে নিজেদের মুক্ত রেখে দেশটাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান।
আইজিপি আজ শনিবার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০১৮ উপলক্ষে বই পড়া, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সপ্তাহব্যপী বই মেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মহসিন হোসেন এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জনাব মাহবুব উদ্দিন আহমদ, বীর বিক্রম, সাবেক সচিব জনাব মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, বীর প্রতীক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার জনাব মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালক ও এআইজি আবিদা সুলতানা।
বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী বই পড়া ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় রাজধানীর ৭টি স্কুলের ১২০ জন শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ইভেন্টে বিভিন্ন গ্রুপে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী শিশু-কিশোরদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রতিটি শিশুর জন্য ছিল সার্টিফিকেট ও শুভেচ্ছা উপহার। প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-অভিভাবক, আমন্ত্রিত অতিথি এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সশ্রস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তৎকালীন পুলিশের বাঙালি সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান জাতির সামনে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এবং পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রয়াসে স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ যুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।