ডিএমপি নিউজঃ বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম(বার) বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখার কিছু নেই। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নই ছিল বাঙালিকে একটি স্বাধীন ভূখন্ড দেওয়া। তিনি তাঁর সমস্ত অস্তিত্ব দিয়ে বাঙালিকে ভাল বেসেছেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদেরকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে।
আইজিপি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ ‘বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক উপস্থিত বৃক্ততা, রচনা প্রতিযোগিতা, শিশু কিশোরদের অংকিত চিত্র প্রদর্শনী, রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোঃ মোখলেসুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মোঃ নজরুল ইসলাম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। আরও উপস্থিত ছিলেনবিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মোঃ মহসিন হোসেন, রেলওয়ের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম, টেলিকমের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ ইকবাল বাহার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (মিডিয়া এন্ড প্ল্যানিং) এস এম রুহুল আমিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ নজরুল ইসলাম খান বলেন, বঙ্গবন্ধু তরুণ বয়সেই নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করেছিলেন। তার সাহস ছিল অসীম, দেশপ্রেম ছিল অত্যন্ত প্রবল। তিনি সারা জীবন মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়েছেন। তিনি বিশ্ব দরবারে নিজেকে একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে না জানলেও বঙ্গবন্ধুকে জানত।
অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, বাঙ্গালী জাতির সার্বিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। জীবনের অধিকাংশ সময়ই তিনি ছিলেন কারাগারে। তিনি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দুটি পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বঙ্গচবন্ধুর জীবনি ও পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর এর প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোঃ মোখলেসুর রহমান বলেন, জাতির পিতা ইতিহাসের অমর কবি। তিনি আমাদের সকলের মহানায়ক। যত দিন যাচ্ছে মানুষের মনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালবাসা ততই প্রবল হচ্ছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালক আবিদা সুলতানা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। পরে প্রধান অতিথি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন।