বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় গবেষণা দিবস। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদালয়ের শহীদ ডাঃ মিলন হলে বৈজ্ঞানিক অধিবেশন ও অ্যাওয়ার্ড প্রদানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া।
বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস হোক চিকিৎসকদের উদ্ভাবনী শক্তির প্রেরণার উৎস। আর চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগগতি গবেষনার উপর নির্ভরশীল। চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার ইতিহাস অনেক প্রাচীন। ১৯৯৮ সালে ৩০ এপ্রিল সাবেক আইপিজিএমআরকে (পিজি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এর ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার দ্বার নতুন ভাবে উম্বোচিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার গত দুই দশকের মধ্যে উচ্চ শিক্ষা তথা চিকিৎসা সেবায় বিদেশ নির্ভরতা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। উচ্চতর মেডিক্যাল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশ্বমানের সঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা গবেষনা চলছে। উন্নত মানের চিকিৎসা প্রয়োগ করার জন্য গবেষনার কোন বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে শিক্ষা,সেবা ও গবেষণার এই ত্রিমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ কারণেই উদযাপন করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস-২০১৯।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তথ্যে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে গবেষনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য ২০১৬ সালে প্রথম গবেষনা দিবস পালন করা হয়। ২০১৬ সালে গবেষনা দিবসে ৩জন স্বনামধন্য গবেষককে গবেষনা পদক দেয়া হয়।
মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডাঃ কনকান্তি বড়ুয়া বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেসিক সাইন্স ও ক্লিনিক্যাল বিষয় সমূহের উপর গবেষনা করছেন। এর ফলে রোগীরা নতুন নতুন প্রযুক্তির উন্নত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন ও উপকৃত হচ্ছেন। নতুন নতুন বিষয় আরো গবেষনা করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা চিকিৎসার মান আরো বাড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বের স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নত প্রতিষ্ঠান গুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর হয়েছে। প্রো-ভিসি ডাঃ শহীদুল্লাহ সিকদার আর্সেনিক সৃষ্ট দূর্যোগ নিয়ে গবেষনা করেছেন। তার গবেষণায় বেরিয়ে আসছে অতিরিক্ত মাত্রায় আর্সেনিকের তথ্য। ১৪০ মিলিয়ন মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে বলে এক তথ্যে জানা গেছে।