ডিএমপি নিউজঃ “সুস্থ কিডনী, সর্বত্র সবার জন্য-রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধ ” প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা সভা ও গোলটেবিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব কিডনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের শহীদ ডা. মিলন হলে কিডনী (নেফ্রোলজি) বিভাগের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশন, কিডনী ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ ও কিডনী এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)-এর সহায়তায় একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া।
উক্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম। আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ৮ জন কিডনী বিশেষজ্ঞ গুণী চিকিৎসককে আজীবন সম্মাননা স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, কিডনী রোগের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে অবশ্যই প্রতিরোধের দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে কিডনী রোগের যাথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ তৈরির উপরও জোর দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, দ্রæত কিডনী রোগ সনাক্তকরণ ও সঠিক সমেয় চিকিৎসা নিলে ক্রনিক কিডনী রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। এই রোগটি মোকাবিলায় সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সক্রিয় উদ্যোগে একনেক মিটিংয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ১০ বেড এবং মেডিক্যাল কলেজে ৫০ বেড বিশিষ্ট ডায়ালাইসিস ইউনিট প্রকল্প পাশ হয়। এর ফলে অনেক কিডনী রোগী উপকৃত হবেন।
এ প্রকল্পকে সফল করতে বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশন বদ্ধপরিকর। তিনি তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনী রোগের চিকিৎসার বিভিন্ন অগ্রগতি ও সাফল্যের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি হোম ডায়ালাইসিস নামে পরিচিত সিএপিডি বা ক্যাপড বা পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিসের প্রসার ঘটানোর অতি প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।