সরকার প্রায় ১৪ হাজার কর্মসংস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক নির্মাণ করছে। সরকার দেশব্যাপী মোট ২৮টি হাইটেক ও সফটওয়ার প্রযুক্তি পার্ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ২৮১ দশমিক ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক, রাজশাহী’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে।
২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন করে।’
রাজশাহীতে আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে পলক বলেন, এই নগরীর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলোজি (রুয়েট) ও রাজশাহী কলেজের মতো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে রাজশাহীতে এক সমাবেশে এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে এই হাই– টেক পার্ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।
এখন আমরা তাঁর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছি এবং এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে আমরা প্রায় ১৪ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব বলে আশা করছি। এই পার্কে আইটি ভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মধ্যদিয়ে রাজশাহী একটি ডিজিটাল অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়ে উঠবে।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই পার্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটা হাই–টেক শিল্প বিস্তার, হার্ডওয়ার শিল্প প্রতিষ্ঠা, আইটি/আইটিইএস শিল্প প্রতিষ্ঠা ও আইটি সংশ্লিষ্ট কাজে বিদেশী কোম্পানিগুলোর মনযোগ আকর্ষণের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিকে আরো বেগবান করতে ভূমিকা রাখবে।
প্রকল্প পরিচালক একেএএম ফজলুল হক বলেন, ‘রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই– টেক পার্কের কাজ পুর্ণদ্যমে চলছে। প্রথম পর্যায়ে প্রকল্প এলাকার প্রায় ৩১ দশমিক ৬৩ একর জায়গার চারপাশে সীমানা প্রাচীরের পাশাপাশি পাঁচতলা বিশিষ্ট মূল কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে দশতলা মাল্টি টেন্যান্ট বিল্ডিং (এমটিবি)সহ বিভিন্ন কাজ ও পুরো প্রকল্প এলাকার জমি ভরাটসহ বিভিন্ন কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করব।’ তিনি বলেন, আনুমানিক দুই লাখ বর্গফুটের এই বিশাল এলাকার নির্মাণকাজ শেষ হলে এখানে যুবক–যুবতীদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ফজলুল হক বলেন, ‘২০১৬ সালের জুলাই মাসে আমরা প্রকল্পটি শুরু করি। ২০১৯ সালের জুন মাসে এটি সম্পন্ন হবে। মাননীয় প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমরা প্রকল্পটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে পার্কটির কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হব বলে আমরা আশা করছি।’
উপ–প্রকল্প পরিচালক মোহম্মদ মাহফুজুল কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই– টেক পার্ক আইটি ও আইটিইএস খাতে নতুন উদ্যোক্তা কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি দেশ–বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করবে। –বাসস