বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের উচ্চতা নিয়ে চীন ও নেপালের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। চীন মনে করত এর উচ্চতা ২৯ হাজার ১৭ ফুট। অন্যদিকে নেপালের দাবি ছিল, এর উচ্চতা ২৯ হাজার ২৮ ফুট। তবে এখন উভয় দেশই এভারেস্টের একই উচ্চতা নির্ধারণ করতে রাজি হয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নেপাল ও চীন এভারেস্টের উচ্চতার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং দুই দেশই এভারেস্ট কতটা উঁচু তা নিয়ে ঘোষণা করতে পারে।
এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপ করার প্রকল্পে নেপালের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত সুশীল ডাঙ্গোল জানিয়েছেন, চীন ও নেপাল মঙ্গলবার এভারেস্টের উচ্চতা ঘোষণা করবে। উল্লেখ্য, এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপ করা একটি কঠিন কাজ এবং এই নিয়ে দু’দেশের মধ্যে মতবিরোধও দেখা দিয়েছে।
২০০৫ সালের জরিপের ভিত্তিতে চীন জানিয়েছিল, এভারেস্টের উচ্চতা ২৯ হাজার ১৭ ফুট। চীন বরফের পরিবর্তে পাথরের উচ্চতা ভিত্তিক পরিমাপ করেছিল। অন্যদিকে ১৯৫৪ সালে ভারতের সার্ভের ওপর ভিত্তি করে তুষারকে পরিমাপের মধ্যে ধরে নেপালের দাবি ছিল, এভারেস্টের উচ্চতা ২৯,০২৮ ফুট। অন্যান্য বেশিরভাগ দেশে তুষারকেও উচ্চতার সঙ্গে ধরে মোট উচ্চতা পরিমাপ করা হয়।
অন্যদিকে হিমালয়ে ভূমিকম্প নিয়ে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের অত্যাধিক চাপ ও তাপের কারণে হিমালয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলে মাঝারি থেকে বিশাল মাপের ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে। আর এই ভূমিকম্পের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে উওরাখন্ডের ধরচুলা এবং কুমায়ন হিমালয়ের মধ্যবর্তী অংশে।