গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এবারের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় ৫.২৫ কোটি গ্রাহক আক্রান্ত হয়েছেন। এতে তাদের নাম, ইমেইল, পেশা এবং বয়স ডেভেলপারদের কাছে উন্মুক্ত হয়ে থাকতে পারে। এমনকি যেসব গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ‘প্রাইভেট’ করা ছিল তারাও আক্রান্ত হতে পারেন। চলতি বছরের অক্টোবরে গুগল প্লাসে আরেকটি দুর্বলতা বের করা হয়। এ ত্রুটির ফলে তিন বছর ধরে ডেভেলপারের কাছে গ্রাহকের ডেটা উন্মুক্ত ছিল।
চলতি বছরের মার্চ মাসে এ ত্রুটি বের করা হলেও অক্টোবরে এটি জানানো হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এরপরই গুগল প্লাসের গ্রাহক সংস্করণ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এবারে গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা এবার নিজেই ত্রুটি বের করেছে, যা ছয় দিন স্থায়ী ছিল, ৭ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
গুগলের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড থ্যাকার বলেন, ‘নতুন এ ত্রুটি বের করার পর আমরা গুগল প্লাস এপিআই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।’ আমরা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ২০১৯ সালের আগস্টের বদলে এপ্রিল মাসেই গুগল প্লাসের গ্রাহক সংস্করণ বন্ধ করা হবে।
যদিও আমরা মনে করি, এখানে ডেভেলপারদের কাজ রয়েছে, আমরা গ্রাহকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। ত্রুটির কথা জানালেও ছয় দিনে গ্রাহকের কোনো তথ্য অপব্যবহার করা হয়নি বলেও জানিয়েছে গুগল। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে গ্রাহকদের বিষয়টি জানানো শুরু করেছে। আরেকবার তথ্য ফাঁসের শিকার হওয়ার আগেই বন্ধ করবে গুগল প্লাস সেবাটি। সূত্র : দ্য ভার্জ