দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচেছন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি শনিবার দুপুরে গাজীপুরের জিরানী এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউডে চারদিনব্যাপী ফ্রি-ফ্যাকো সার্জারী এ্যান্ড আইক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর মাঝারি ধরনের বন্যা হয়। এবছর তুলনামূলকভাবে বন্যা একটু বেশি হয়েছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্জল সহ বন্যাকবলিত এলাকা গুলোতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একাধিক মেডিক্যাল টিম ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন এবং টিমের সদস্যরা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এ সকল জেলার বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বর্তমান সরকারের এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে পুরোদমে কাজ শুরু করবেন।
স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান সরকারের সফলতা ও অর্জন উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সকল ধরনের চিকিৎসাসেবা এখান থেকে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার হল উন্নয়নের সরকার। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে ১৪ হাজার ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে গরিব ও মধ্যবিত্তসহ সর্বস্তরের মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচেছ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
মোহাম্মদ নাসিম ফিতা কেটে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষষায়িত হাসপাতালের ফ্রি-ফ্যাকো সার্জারী এ্যান্ড আইক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচারক অধ্যাপক ডা. দীন মো: নুরুল হক, হাসপাতালের পরিচালক ডা. রাজীব হাসান, চিফ এক্রকিউটিভ অফিসার জাইতুল বিনতে সোলায়মান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা, চিকিৎসক,নার্স সহ রোগীরা উপিস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী ৬ষ্ঠতলা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগীদের খোঁজ খবর নেন।
জানাগেছে, আজ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে ফ্রি-ফাকো সার্জারী এ্যান্ড আইক্যাম্প শুরু হয়েছে। সেটি আগামীকালও চলবে। এর পরে আগামী ২৬ ও ২৭ আগস্ট এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক ডা. দ্বীন মো: নুরুল হকের নেতৃত্বে ২৫ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স ও ১০ জন স্বাস্থ্য সহকারি এই চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনায় সহযোগিতা করছেন। ইতোমধ্য ৪০০ রোগী নাম নিবন্ধন করেছেন। চার দিনে এই সকল রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।