যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের আনানডেল শহরে ‘পালকি’ নাটকের প্রদর্শনী মঞ্চে সাম্প্রতি বাংলাদেশের বন্যাদূর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন নাট্যকর্মী, কলাকুশলী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আনানডেলের নোভা কমিউনিটি ক্লেজের আর্নেস্ট কালচারাল সেন্টারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইঙ্ক (বাই) আয়োজিত গত শনি ও রবিবার দু’দিনব্যাপী ‘পালকি’ নামের চলচ্চিত্রের বৈশিষ্ট্যযুক্ত এ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।
ভার্জিনিয়া প্রবাসী লেখক সাংবাদিক সফি দেলোয়ার কাজলের লেখা এ নাটকটি পরিচালনা করেন কামরুল খান লিঙ্কন, কোরিওগ্রাফার হিসেবে ছিলেন রুমা খান। স্থানীয় তথ্য ও প্রযুক্তি প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠান ‘পিপল এন টেক’ এর পৃষ্ঠপোষকতায় আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ও চলচ্চিত্রের বৈশিষ্ট্যযুক্ত পালকি নাটকটি বৃহত্তর ওয়াশিংটনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে প্রানের স্পন্দন জাগিয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইঙ্ক (বাই) নিবেদিত পালকি নাটক মঞ্চায়নের অর্থ বাংলাদেশে চলমান বন্যা দূর্গত মানুষদের সাহাযার্থে ব্যয় করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এর আগের ‘ঘুড়ি’ এবং ‘ঢেউ’ নামে আরও দু’টি নাটক মঞ্চায়ন করেছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইঙ্ক। নাটক দু’টিতে দারুন সাফল্যের পর ‘পালকি’ ছিল তাদের তৃতীয় পরিবেশনা।
একজন ষোড়শী’ মেয়ের জীবনরহস্য আর স্বপ্নকে ঘিরে গড়ে উঠে নাটকের কাহিনী। বাংলাদেশের শহরতলীতে হিজলতলী গ্রামের ইছামতি নদীর পাড়ে মাস্টার বাড়ীর দুই মেয়ে শিমূল এবং পালকি। দুই বোনের জীবনের হাসি-কান্না, আনন্দ বেদনার এক রূপ কল্প নাটক-পালকি। তবে এর কাহিনী বিন্যাসে ষোড়শী পালকির জীবনের নানা বাঁক-ই ফুটে উঠেছে।
পালকির জীবনের দুরন্তপনা, ছেলে মানুষী, জীবনের কাছে তার চাওয়া-পাওয়া, তার ভাবনা, তার স্বপ্ন, সব কিছুই ফুটে উঠেছে পালকির কাহিনীতে। মা-মেয়ের সম্পর্ক, বোন-বোনে বাবা-মেয়ে, এবং মানুষে-মানুষে, বিশেষ করে ভালবাসা-ভাললাগার মানুষের সম্পর্ক। এই সম্পর্কের মাঝেই প্রকাশিত এবং বিকশিত হয়েছে আবেগ, ভালবাসা, রাগ-অনুরাগ, আনন্দ-বেদনা, আশা-অনুশোচনা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক নিরন্তন প্রচেষ্টা।
ঘুড়ি এবং ঢেউ এর পর পালকিও সকলের মন ভরিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন নাট্যকার সফি দেলোয়ার কাজল। তিনি বলেন, অন্যান্য মাধ্যমের সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের চেয়ে নাটক একটি সময় সাপেক্ষ ব্যায়বহুল প্রযোজনা। তাই গ্রেটার ওয়াশিংটন বাংলাদেশি কমিউনিটির সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। বাই পরিবেশিত নাটক সুষ্ঠ বাংলা সংষ্কৃতির নির্যাস বিনোদনের পাশাপাশি একটি তহবিল উন্নয়ন প্রকল্প।