দেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারের পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মুসলমানদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ সকালে বঙ্গভবনে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ আহবান জানিয়ে বলেন, সমাজের বিত্তবানদের মনে রাখতে হবে, বন্যার্তদের কেউ যেন ঈদ উৎসব থেকে বঞ্চিত না হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং এ মুহূর্তে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে অক্ষম, হাওর ও অন্যান্য এলাকার মানুষের সঙ্গে সমাজের বিত্তবানদের ঈদের আনন্দ শেয়ার করা উচিত।
রাষ্ট্রপতি মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের সবোর্চ্চ দৃষ্টান্ত হিসাবে হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর আত্মত্যাগের উল্লেখ করে বলেন, ঈদুল আজহা আমাদের আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয় এবং এই শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় প্রত্যোককে নিজ নিজ কর্ম ও চিন্তায় সহিষ্ণু ও আত্মত্যাগের মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ধর্মের মূল বার্তা হচ্ছে মানবতা। ধর্ম মানুষকে মানবিক হতে অনুপ্রাণীত করে এবং ন্যায় ও কল্যাণের পথ দেখায়। কুরবানী এবং এর আত্মত্যাগের মহিমা সমাজে ও ব্যক্তি জীবনে এর নীতি ও শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে বলে তিনি আশা করে সকলের সুখ ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং তাঁর পত্নি রাশিদা খানম ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিদেশী কূটনীতিকদের সম্মানে এই সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নুরুল হুদা যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ, সংসদ সদস্যগণ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সম্পাদকগণ, সচিবগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, লেখক, কবি এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ।
এ ছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণও অনুষ্ঠনে যোগ দেন।