ভয়াবহ বন্যায় দেশের ২১টি জেলার ৯৬টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এসব উপজেলার ৩২ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর কমবেশি নষ্ট হয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ২১৭ হেক্টর জমির ফসল।
গতকাল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ত্রাণের কোনও অভাব নাই। স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।’ তারপরেও কোনো এলাকায় যদি ত্রাণ পৌঁছে না থাকে বা সংকট থাকে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের জেলা প্রশাসন, প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গোলাম মোস্তফা আরো জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ ৫২ হাজার পরিবার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছে ৩৭ জন। এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৫৯৯টি। এগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে চার লাখ ১১ হাজার মানুষ।
বন্যা মোকাবিলায় তাঁদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৯ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজার ২৫৫ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে। নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে প্রায় এক কোটি ৩২ লাখ। আর ১৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়েছে জানিয়ে সচিবের দায়িত্বে থাকা ওই কর্মকর্তা বলেন, বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি জেলায় মন্ত্রণালয় থেকে যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয় করছেন।বিবি/০১