শীতকালীন বরফ ঝড়ে ইউরোপের একাংশ অচল হয়ে পড়েছে। এই পর্যন্ত বরফ ঝড়ে মৃতের সংখ্যা ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্তত ৯টি দেশের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। বরফ জমে বন্ধ হয়ে গেছে ট্রেন লাইনও। খবর ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ডের
বরফ ঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে সুইডেন, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আলবেনিয়া, তিউনিশিয়া ও সার্বিয়া। বুলগেয়ািয় শুক্রবার বরফ ঝড়ে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুত্ সরবরাহও বন্ধ। রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শহর থেকে গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান রেডক্রসের বুলগেরিয়া শাখা জানিয়েছে, পিরিন পর্বতে বরফ পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। জার্মানি এবং অস্ট্রিয়ায় ব্যাপক হারে বরফ জমে গেছে। ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং মিউনিখে বিমানবন্দরের অনেক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে। জার্মানিতে বরফে গাড়িতে আটকা পড়ে এক ব্যক্তি মারা গেছে। মিউনিখের দক্ষিণের লিঙ্গারিসের পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক ঘন্টা ধরে এক ব্যক্তি আটকা পড়েছিলেন। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। অস্ট্রিয়ার একটি পার্বত্য অঞ্চলের গেস্ট হাউস থেকে ৬৬ জার্মান তরুণকে উদ্ধারে সামরিক হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। তারা আটকা পড়েছিলেন। পূর্ব সুইজারল্যান্ডে বরফের আঘাতে তিনজন আহত হয়েছে। অস্ট্রিয়ার আবহাওয়াবিদ আলেক্সান্ডার র্যাডেলহার জানান, প্রতি ৩০ বছর থেকে ১০০ বছরে এত পরিমাণ বরফ পড়ার ঘটনা ঘটে। তিউনিশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বরফ ঝড়ে বাড়ির সামনের রাস্তাও ঢেকে গেছে। অনেকেই বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না।
সুইডেনের উত্তরাংশে প্রতি সেকেন্ডে ৪৯ দশমিক ৭ মিটার বেগে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। নরওয়ের পার্বত্য অঞ্চলের রাস্তা বরফে ঢেকে গেছে। সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে স্থানীয় এক লরি চালক জানিয়েছেন। গাড়ি চলাচল না করতে পারায় অনেককেই গাড়ির ভেতর রাতযাপন করতে হয়েছে। সুইডেনের সুইস হোটেলের সামনের রাস্তা বরফে ঢেকে গেছে। গাড়ি চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।