যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার এবং অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে যাত্রীবাহী লঞ্চের ট্রিপসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এসব দিনে ছয়টির পরিবর্তে সাতটি করে ট্রিপ এবং উৎসবকালীন দিনগুলোতে পর্যাপ্ত লঞ্চ চলাচল করবে। গতকাল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌপথে রোটেশনে চলাচলকারী লঞ্চগুলোর রোটেশন বাতিলসংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুস সামাদ, বিআইডাব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শহীদুজ্জামান, বরিশালের জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসাক (রাজস্ব) এস এম সোহরাব হোসেইন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি মো. শহীদ ভূঁইয়া প্রমুখ। এতে ঢাকা-হুলারহাট-ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর), ঢাকা-পটুয়াখালী এবং ঢাকা-ভোলা রুটেও লঞ্চ ট্রিপসংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় জানানো হয়, ঢাকা নদীবন্দর থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি নৌপথে মোট ২০২টি লঞ্চের রুট পারমিট আছে। এর মধ্যে ঢাকা-বরিশাল রুটে ১৭টি, ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে চারটি, ঢাকা-ভোলা রুটে চারটি এবং ঢাকা-হুলারহাট-ভাণ্ডারিয়া নৌপথে ছয়টি লঞ্চকে রুট পারমিট দেওয়া আছে।