বর্জ্য আমদানিতে আরও কড়া হয়েছে চীন। জাহাজ, গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং ধাতুশঙ্করের মতো একাধিক বর্জ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল চীন। গত বছরই ২৪টি বর্জ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বেইজিং। নতুন ভাবে বেইজিং নিষেধাজ্ঞার বহর বাড়ানোয় কপালে ভাঁজ ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলির।
উল্লেখ্য, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বর্জ্য আমদানি করে চীন। বিপুল পরিমাণ বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারের প্রযুক্তি রয়েছে তাদের হাতে। এবার সরাসরি বেইজিং বর্জ্য আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপদের মুখে প্রথম বিশ্বের বহু দেশ। অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলিতে যে পরিমাণ বর্জ্য উত্পন্ন হয়, তার ভগ্নাংশমাত্র পুনর্ব্যবহার করতে পারে না তারা। ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও সমস্যা একই বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা।
স্ক্র্যাপ রিসাইকেলিং ইন্ডাস্ট্রি জানাচ্ছে, ২০১৭ সালে মোট উত্পন্ন বর্জ্যের ৩১ শতাংশ চীনে রপ্তানি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটেন প্রতি বছর সিংহভাগ বর্জ্য হংকং এবং চীনে রপ্তানি করে থাকে। এই তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপানও।
তবে, অশনি সঙ্কেতের মধ্যেও ইতিবাচক দিক দেখতে পাচ্ছেন পরিবেশবিদরা। তাঁদের মতে, চীনের এই পদক্ষেপে ঘুম ভেঙেছে অন্যান্য দেশগুলির। ইতিমধ্যেই নিজের দেশের বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করার জন্য বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান।