পুরোদমে চলে এসেছে বর্ষা। কমেছে গরম। মিলেছে স্বস্তি। প্রকৃতি ঠান্ডা হলেও বৃষ্টির প্রকোপে জনজীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। মৌসুমী অসুখ ও হাঁচি-কাশির সমস্যা হয় এই সময়ে। তাই এই বর্ষায় সার্বিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় মেনে চললে সুস্থ থাকা যায়।
ঋতু পরিবর্তনকে নিজের শারীরবৃত্তীয় চক্রে খাপ খাইয়ে নিতে একটু সময় লাগে। তাই এই সময়েই অসুখ ঢুকে পড়ে ঢিলেঢালা সুরক্ষার ফাঁক গলে। তাই সচেতন হওয়ার সেরা সময় এটাই। বর্ষাকে কবজা করতে কিছু সাধারণ নিয়ম মানাই যথেষ্ট বলে মনে করছেন ডাক্তাররা। তাদের মতে, বর্ষায় শরীরের ‘প্রোটেকটিভ মেকানিজম’ অর্থাৎ শরীরের নিজস্ব সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ঠিক রাখতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
১. বর্ষায় অনেক সময়েই ইচ্ছে না থাকলেও ভিজতেই হয়। তাই খাবারের মেনুতে রাখুন প্রচুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, মৌসুমী ফল, বিশেষত আমলকী। ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমাতে এর বিকল্প নেই।
২. অনেকেরই প্রায় সারা বছর ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থাকে। হাঁচি-কাশির তেমন প্রভাব থাকলে অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ওষুধ, বাড়িতে তৈরি তুলসিপাতার রস-বাসক পাতার রস-আমলকী মেশানো পানীয়ের উপর আস্থা রাখুন। অ্যান্টিঅ্যালার্জির ওষুধ খেলে তা অবশ্যই পরামর্শ নিন নিজস্ব চিকিৎসকের।
৩. বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি এলে একটু গরম পানি করে গোসল সেরে ফেলুন। সতেজ হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টির পানির ক্ষতিকারক ব্যাক্টিরিয়াও ধুয়ে ফেলা যাবে। নইলে এই বিপজ্জনক ব্যাক্টিরিয়া নষ্ট করে দেবে চুল। চুল পড়ার মতো সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
৪. তেল-মশলার খাবার থেকে দূরে থাকুন। বর্ষায় পরিবর্তিত আবহাওয়ায় খানিক হজমের সমস্যা দেখা যায়। সহজপাচ্য খাদ্য থাকুক তালিকায়।
৫. এই সময় কিছু কিছু মাছের শরীরে একরকম ঘা হয়। তাই মাছ কেনা ও বাছার সময় সতর্ক থাকুন।