প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধ অনুদান হিসেবে ভূটানে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে ভূটানে যত ধরনের ওষুধ লাগবে সব ওষুধ বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হবে। এই লক্ষ্যে দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ওষুধ শিল্প সমিতি ও শীর্ষ স্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ২০১৮ সালের জুন থেকে শুরু করে চার কিস্তিতে এই ওষুধ পাঠানো হবে। ভূটানে নাগরিকদের এক বছরের জন্য যত ওষুধ লাগবে সবই পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকার ওষুধ পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভূটান সরকার ২০১৯ সালে তাদের দেশের নাগরিকদের চিকিৎসার জন্য যত ধরনের ওষুধ লাগে তার চাহিদা অনুয়ায়ী বাংলাদেশ থেকে সরবরাহ করবেন। এ নিয়ে সম্প্রতি ওষুধ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান ও ওষুধ শিল্প সমিতি ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরী ওষুধ আগামী ২০১৮ সাল থেকে অনুদান হিসেবে দেয়া শুরু হবে। এই জন্য এখন থেকে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ওষুধ কোম্পানী গুলো তাদের আগাম প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছেন।
এই সম্পর্কে ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব শফিউজ্জামান মুঠোফোনে জানান, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প সমিতির সকল সদস্যরা ভূটানবাসীর এক বছরের চিকিৎসায় বাংলাদেশে উৎপাদিত সকল ধরনের ওষুধ ভূটানে পাঠানোর সুযোগ পেয়েছে। প্রতিটি কোম্পানী তাদের অবস্থান অনুযায়ী ওষুধ পাঠাবে। এই লক্ষ্যে কোম্পানী গুলো কাজ করছে।
ওষুধ বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূটানে বাংলাদেশের ওষুধ পাঠানোর কারনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের শুনাম বাড়বে। আর দেশে উৎপাদিত ওষুধের গুণগত মান ভাল হলে এবং তা ব্যবহার করে রোগীরা আরগ্য লাভ করলে দেশে উৎপাদিত ওষুধের রপ্তানী বৃদ্ধি পাবে । উল্লেখ্য এর আগ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৩৫টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানী হচ্ছে। বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধ এখন বিশ্ব মানের।