পাট থেকে পলিথিনের বিকল্প পচনশীল পলিব্যাগ তৈরি করেছে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এমপি ।
তিনি জানান, পাটের সুক্ষ্ম সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে বিজ্ঞানীরা এ ব্যাগ তৈরি করেছেন। তাদের আবিস্কৃত এ পলিব্যাগ দেখতে প্রচলিত পলিথিনের মতোই হালকা, পাতলা ও টেকসই। পাটের তৈরি এ পলিথিন মাটিতে ফেললে তা মাটির সাথে মিশে যাবে। এর ফলে পরিবেশ দূষিত হবে না।
আজ সকালে রাজধানীর ডেমরায় অবস্থিত লতিফ বাওয়ানী জুটমিলে পলিব্যাগ তৈরির প্রাথমিক পাইলট প্ল্যান্ট উদ্বোধন কালে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বিশেষ অতিথি ছিলেন।
ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক আরো বলেন, সোনালী আঁশ পাটের উৎপাদন ও বহুমুখী ব্যবহার উৎসাহিত এবং জনপ্রিয় করতে পাট চাষিদের সোনালী স্বপ্নপূরণে জোরদার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কাঁচা পাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, পাটজাত পণ্য রপ্তানি ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন বর্জনের ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
পাট মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাটকে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরতে জুট ডাইভারসিফেকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এ ১৩৫ প্রকার পাটপণ্যের স্থায়ী প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণ ও উচ্চমূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে চারকোল, ভিসকোস, পাটপাতার পানীয়সহ নতুন নতুন বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে জোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মির্জা আজম জানান, আগামীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাটের পলিথিন উৎপাদন শুরু করা হবে। তিন মাসের মধ্যে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আনা হবে। সবকিছু করা হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে উৎপাদনের পর বেসরকারিভাবেও এই ব্যাগ উৎপাদনে উৎসাহ দেয়া হবে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি হবে এই ব্যাগ। বাজারে যে পলিথিন ব্যাগ আছে তার চেয়ে দেড়গুণ বেশি টেকসই এবং ব্যবহার স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাবে এই পাটের পলিথিনে।