প্রতিবছর হালাল খাদ্য ও পণ্যের চাহিদা ১০.৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০১৪ সালে বিশ্বে হালাল পর্যটন শিল্পের পরিমাণ ছিল ৭শ’ ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯ সাল নাগাদ বিশ্বে হালাল শিল্পের পরিমাণ ৩.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। হালাল খাদ্যের মত বিশ্বেজুড়ে হালাল পর্যটন শিল্পখাতও বিকশিত হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্ব পর্যটন শিল্পখাতের শতকরা ১১.৬ ভাগ হালাল পর্যটন শিল্পের আওতাভূক্ত। আগামীতে হালাল খাদ্য রফতানি হবে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় রফতানি খাত।
গতকাল ‘বাংলাদেশ হালাল এক্সপো-২০১৭’ সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু একথা বলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে ৩ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ইসলামিক ফউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনুকরণীয় মডেল। কৃষি উৎপাদনের বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে তৃতীয় এবং চাল, সুস্বাদু পানির মাছ ও ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। তৈরি পোশাকের পর বাংলাদেশ রপ্তানি পণ্য বহুমুুখীকরণ ও রপ্তানির জন্য নতুন বাজার খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে উদ্যোক্তাদের নগদ প্রণোদনাসহ সরকারি নীতিসহায়তা জোরদার করা হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি রপ্তানিমুখী হালাল খাদ্য ও পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি হালাল খাদ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। হালাল শিল্প বিশ্বব্যাপী একটি উদীয়মান শিল্পখাত। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্য ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ হালাল খাদ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাড়াতে পারে।