বৃহস্পতিবার ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রবাস আয় গ্রহীতা। বিবিএস এর জরিপে দেখা গেছে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের অভিবাস সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো গড়ে ৩ লাখ ২ হাজার টাকার প্রবাস আয় গ্রহণ করেছেন। এই আয়ের মধ্যে ২৫ শতাংশ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে হয়। প্রবাস আয় ভোগ ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমেও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে প্রবাস আয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এর বৃদ্ধির জন্য নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
প্রবাস আয় বাড়াতে আগামী অর্থবছরে চারটি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত । পদক্ষেপগুলো হল-প্রবাস আয় প্রেরণে ব্যয় হ্রাস,বিদেশে কর্মরত ব্যাংকের শাখা ও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকে রেমিটেন্স প্রেরণে দক্ষ করে তোলা,প্রবাসীরা যেসব দেশে কর্মরত সেসব দেশের স্থানীয় ব্যাংকগুলোর সাথে এ দেশের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ড্রয়িং ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রেরণে উদ্বুদ্ধকরণ।
অর্থমন্ত্রী বলেন,‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি,আমাদের এ সকল উদ্যোগ এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উর্ধ্বমূখী ধারা আমাদের প্রবাস আয় প্রবাহে ইতিবাক ভূমিকা রাখবে।’
গতকাল বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী প্রবাস আয় বাড়াতে প্রস্তাবিত এসব পদক্ষেপ বিশেষ কাজে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বাজেট পেশের আগে অর্থমন্ত্রী অর্থনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাথে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় জানিয়েছিলেন,প্রবাস আয় পাঠাতে প্রেরণকারীকে কোন মাশুল দিতে হবে না,এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর মাশুল ব্যয় সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাহের জন্য একটি তহবিল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে প্রবাসীরা ৯১৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন।